সেদিন রাত পৌনে ৯টার দিকে খবর আসে, গুলশান ৭৯ নম্বর সড়কের হলি আর্টিজান বেকারিতে সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির পাঁচ সদস্য রেস্টুরেন্টটিতে ঢুকে প্রথমে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায়। নিহতদের মধ্যে ৯ জন ইতালীয়, ৭ জন জাপানি, ১ জন ভারতীয় ও ৩ জন বাংলাদেশি ছিলেন। বাংলাদেশিদের মধ্যে একজনের দ্বৈত নাগরিকত্ব ছিল।
এই হামলা ঠেকাতে গিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তা শহীদ হন। রাতভর উত্তেজনার পর পরদিন সকালে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো বাহিনী ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ নামে অভিযান চালায়। অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়।
জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস তাদের বার্তা সংস্থা ‘আমাক’-এর মাধ্যমে হামলার দায় স্বীকার করে। তবে বাংলাদেশ সরকার সব সময়ই দাবি করে, এই হামলার পেছনে স্থানীয় জঙ্গিরাই দায়ী।
হলি আর্টিজান হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার শেষে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল সাত জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। তারা হলেন—জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন র্যাশ, আব্দুস সবুর খান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাদিসুর রহমান, শরিফুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ। মামলায় মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানকে খালাস দেওয়া হয়।