আলী রিয়াজ বলেন, ‘আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারক থেকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলেও, কর্মে একজন নাকি দুজন জ্যেষ্ঠ বিচারকের বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। রাজনৈতিক দলগুলোকে এ বিষয়ে পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে কমিশন।’
তিনি জানান, তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভিন্নমত নেই। এ বিষয়ে আইনসভা থেকেই প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের দুটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন। ভবিষ্যতে বিতর্ক এড়াতে দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।
এছাড়া জরুরি অবস্থা জারির বিষয়ে সংবিধানের ১৪১ ধারা সংশোধন, তার প্রক্রিয়া ও জরুরি অবস্থাকালীন নাগরিক অধিকার রক্ষার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। সংসদীয় কমিটির মাধ্যমে জরুরি অবস্থা জারির পরামর্শ দিয়েছে বেশিরভাগ দল। আলী রিয়াজ জানান, ‘আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে একটি ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকের আলোচনায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে। তবে এই সংস্কার কোনো তাড়াহুড়োর বিষয় নয়। প্রতিটি শব্দ ও বাক্য যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি সহযোগিতার ধারা বজায় রাখে, তবে চলতি মাসেই জুলাই সনদ ঘোষণা করা সম্ভব।’
আলোচনায় অংশ নেয়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘জরুরি অবস্থার বিধান যেন রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত না হয়, এতে কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত জামায়াত।’
তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদের সুপারিশের বদলে সংসদীয় কমিটির সুপারিশে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে জরুরি অবস্থা ঘোষণার প্রস্তাব দিয়েছে জামায়াত।
কমিশন মনে করছে, সংস্কার তাড়াহুড়ার বিষয় নয়। প্রতিটি শব্দ ও বিধান বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে আলোচনার গতিধারা অব্যাহত থাকলে চলতি জুলাই মাসেই রাজনৈতিক সংস্কার সংক্রান্ত একটি ঐকমত্যের রূপরেখা প্রকাশ করা সম্ভব হবে।