শফিকুল বলেন, ‘ফকির লালন শাহ শুধু একজন গীতিকার বা সংগীতশিল্পী নন, তিনি ছিলেন একজন গভীর জীবনদর্শনের সাধক ও দার্শনিক। তার গান যুগের পর যুগ বাংলার মানুষের অন্তরে সাড়া জাগিয়েছে। লালনের দর্শন সাম্য, মানবপ্রেম ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতীক হিসেবে আজও আমাদের অনুপ্রেরণা যোগায়।’
প্রেস সচিব জানান, লালনের সংগীত বাউল সমাজের ভেতর সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং তা গ্রাম থেকে শহর বাংলার প্রতিটি মানুষের সাংস্কৃতিক চর্চার অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। জাতীয়ভাবে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেলে বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোতে লালনচর্চা ও গবেষণা নতুন মাত্রা পাবে বলে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আশা করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন:
তিনি আরও বলেন, ‘এ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরার সুযোগ সৃষ্টি করবে। লালন আমাদের গ্লোবাল কালচারাল হেরিটেজের অন্যতম সম্পদ।’
উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অন্যান্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব যেমন কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ, চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান এবং রক সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চুকে নিয়েও আলোচনা করা হয়। তবে সভায় চূড়ান্তভাবে কেবল ফকির লালন শাহের তিরোধান দিবসকে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।