জানা গেছে, সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টার দিকে জাতীয় পার্টি অফিসে হামলা ও ভাঙচুর চালায় ছাত্রজনতা। অগ্নিসংযোগও করা হয় কার্যালয়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসে পুলিশ।
ছাত্রজনতাকে ছত্র ভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ সময় পুলিশ ও ছাত্রজনতার ব্যানারে থাকা বিক্ষোভকারীদের মধ্যে মধ্যে কয়েক দফায় ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন:
এতে করে ওই এলাকায় চরম উত্তেজনার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। টানা ঘণ্টাখানেক ধরে কাকরাইল, বিজয়নগর পানির ট্যাংকসহ আশপাশের এলাকায় বিচ্ছিন্ন হয়ে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের দিকে লক্ষ্য করে তারা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে।
পরে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে তাদের ওই এলাকা থেকে সরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিলেও আটকের খবর পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ মিছিল নিয়ে কাকরাইল মোড় হয়ে জাতীয় পার্টির অফিস পার হওয়ার সময় পুলিশের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এর কিছুক্ষণ পর তারা সড়কে অগ্নিসংযোগ করে। পরে তারা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
এর আগে কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন জাপা একাংশের মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী। সেখানে তিনি বলেন, ‘মশাল মিছিলের নামে শুক্রবার জাতীয় পার্টির অফিসে আগুন দিতে আসেন বেশ কয়েকজন। ওই সময় আগুনে পুড়ে যাওয়ার হাত থেকে নেতাকর্মীদের রক্ষা করেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। দেশের মঙ্গলের জন্য সেনাবাহিনীর আরও দৃশ্যমান হওয়া উচিত।’
আরও পড়ুন:
গতকাল কাকরাইলে গণঅধিকার পরিষদ, জাতীয় পার্টি (জাপা) ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। সেখান থেকে নুরকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রাত ১১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। রাত ১২টার দিকে অবস্থান অবনতি হলে নুরকে নেয়া হয় ঢামেকের আইসিইউতে।
সবশেষ আজ দুপুরে দলটির উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ জানান, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের জ্ঞান ফিরেছে কিন্তু এখনও শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন।