ফেসবুকে জসীমউদ্দিন খান লেখেন, ‘ডাকসু নির্বাচন ঢাকার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বাধীন ইচ্ছা এবং গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণের প্রতিফলন। নির্বাচনের ফলাফলকে উদ্বেগের বিষয় হিসেবে উল্লেখ করা কেবল অযৌক্তিকই নয়, এটি বাংলাদেশের ছাত্রদের গণতান্ত্রিক ইচ্ছাকে অবজ্ঞা করার সামিল। একটি কার্যকর গণতন্ত্র বিভিন্ন মত এবং দৃষ্টিভঙ্গির উপর ভিত্তি করে বিকশিত হয়।’
তিনি লেখেন, ‘আমরা সম্মানের সহিত থারুরকে অনুরোধ করছি, তিনি যেন ভারতের নিজ গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে চলমান সমস্যাগুলি সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করেন। ভারতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়— মুসলিম, খ্রিস্টান, দলিত এবং আদিবাসী— ক্রমাগত বৈষম্য এবং সহিংসতার শিকার হচ্ছে। একটি প্রকৃত গণতন্ত্র তার সকল নাগরিকের অধিকার এবং মর্যাদার রক্ষা করে এবং আমরা দৃঢ়ভাবে ভারতীয় নেতাদের অনুরোধ করি, প্রতিবেশি দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াগুলোর সমালোচনার আগে তারা যেন নিজের দেশে ন্যায়বিচার এবং সমতার প্রতি অগ্রাধিকার দিন।’
আরও পড়ুন:
ডাকসু আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক লেখেন, ‘নতুন নির্বাচিত ডাকসু নেতৃত্ব হিসেবে আমরা সারাবিশ্বের ছাত্রদের সঙ্গে সংলাপ, বন্ধুত্ব এবং অ্যাকাডেমিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি শিক্ষা, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং যুব নেতৃত্বাধীন উদ্যোগ দেশের মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ় করতে পারে। তবে থারুরের মত-মন্তব্য যা ভুল ধারণা তৈরি করে বা শত্রুতার সৃষ্টি করে, তা গঠনমূলক সংলাপকে বাধাগ্রস্ত করে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর চাপ সৃষ্টি করে।’
তিনি লেখেন, ‘ডাকসু সংলাপ, সহযোগিতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং বিশ্বের মধ্যে আস্থা গড়ে তোলা এবং সম্পর্ক গভীর করার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’