আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি কার্যকর করে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদ, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ ছয় বিরোধী দলীয় নেতাকে। বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে আন্তর্জাতিক মহলে। অভিযোগ ওঠে আদালতকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের।
চব্বিশের অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকার পতনের পর সব রাজনৈতিক মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে থাকেন বিভিন্ন দলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ। অভ্যুত্থানের ৬ মাস পার হলেও বিতর্কিত যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি না দেয়ায় রাজধানীর পল্টনে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে দলটি।
সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের পতনের পর ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে।’ কোন বৈষম্য বরদাশত করা হবেনা বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে দলটি। পল্টন থেকে শাহবাগ মোড়ে এসে কর্মসূচি শেষ হলেও তাদের শীর্ষ নেতাকে মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার কথা জানায় নেতাকর্মীরা।
খুলনায় দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘নিরপরাধ মানুষকে ফাঁসি দিয়ে বিচারিক হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে।’
একই দাবিতে চট্টগ্রাম, বগুড়া, সাতক্ষীরা, নোয়াখালী, ফেনী ও নওগাঁসহ সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী।