জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে দেশের রাজনীতিতে তুমুল আলোচনা ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে। রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্যে, বিবৃতিতেও ফুটে উঠছে নির্বাচন নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান।
জুলাই বিপ্লবে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি গঠনের পরই সরব হতে দেখা যায় নির্বাচন ইস্যুতে। নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর মতভেদের পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মোহাম্মদ ইউনূসের বরাতে চলতি বছরের শেষে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথাও একাধিকবার শিরোনাম হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে।
এমন প্রেক্ষাপটে আজ (বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ) রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘অস্থিতিশীলতার জন্য দেশ এখনো নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত নয়। এ বছর নির্বাচন কঠিন হবে।’
তিনি বলেন, ‘গত ৭ মাসে আমাদের প্রত্যাশা চিল সবারই ল’ অ্যান্ড অর্ডার স্বাভাবিক হওয়া। পুলিশিং সিস্টেম স্বল্প মেয়াদি সংস্কারের মধ্যে দিয়ে সক্রিয় হওয়া। সেটার জায়গাটা কিছুটা উন্নতি হয়েছে কিন্তু জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি অন্তর্বর্তী সরকার। এখন যে ল’ অ্যান্ড অর্ডার ও পুলিশিং সিস্টেম এই অবস্থায় জাতীয় নির্বাচন করা সম্ভব না।’
সাক্ষাৎকারে এনসিপি আহ্বায়ক বলেন, ‘সেকেন্ড রিপাবলিক গঠন ও সংবিধান পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশে শাসন কাঠামোর পরিবর্তন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের যে বিদ্যমান সংবিধান, রিপাবলিক তার অধীনেই কিন্তু একটি ফ্যাসিজম সৃষ্টি হয়েছে। গত ৫৪ বছরে তার অধীনেই গণতন্ত্র মুখ থুবড়ে পড়েছে। সর্বশেষ এমন একটা গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। আমাদের এই সংবিধান মানবাধিকার রক্ষা করতে পারেনি। গুম হয়েছে মানুষ। আমাদের ভোটাধিকার রক্ষা করতে পারেনি। ফলে সংবিধানের প্রতি জনগণের সেই আস্থা নেই। আমরা যদি নতুন করে আস্থা তৈরি করেতে চাই তার জন্য নতুন করে সংবিধান তৈরি করতে হবে।’
জুলাই ঘোষণাপত্রে সব রাজনৈতিক দল ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলে নির্বাচন যেমন বিলম্ব হতে পারে তেমনি যখনই নির্বাচন হোক তখনই এনসিপি তাতে অংশ নিতে প্রস্তুত আছে বলেও জানান তরুণ এই নেতা।