আজ (বৃহস্পতিবার, ১২ জুন) বিকেলে নোয়াখালী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের আয়োজনে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র: নোয়াখালীর জনগণের প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা ধর্ম বিদ্বেষ ছড়িয়েছে, হিন্দুদের মন্দিরে হামলা চালিয়েছে, জঙ্গিবাদের নামে এদেশের আলেম-ওলামার ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন নিষ্পেষণ চালিয়েছে। সেই ধর্ম বিদ্বেষ নামক কার্ড তারা খেলেছে আধিপত্যবাদ এবং ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায়। ধর্ম বিদ্বেষের জিঞ্জির থেকে আমাদের বের করে আনার জন্য ধর্মীয় বিশ্বাস এবং মূল্যবোধকে ধারণ করা, প্রত্যেকের যার যার ধর্ম পালনের এবং ধর্মীয় অধিকার এবং স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।’
জুলাই প্রক্লেমেশেন চব্বিশের আগস্টেই হওয়ার দরকার ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এত মাস পার হলেও আমরা এখন পর্যন্ত সেই প্রক্লেমেশেন পাইনি। বাহাত্তরের পরে যখন পঁচাত্তরে আমাদের আরেকটা মুক্তি আসলো তারপর আমাদের নতুন বাংলাদেশের মানুষের যে ঐক্যবদ্ধতা, নতুন এক বাংলাদেশ গঠনের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা দেখলাম।’
রাফে সালমান রিফাত বলেন, ‘একাত্তরের প্রধান যে চেতনা সেটি আমি মনে করি ঐক্যবদ্ধতা যার প্রতিফলন বাংলাদেশ ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে দেখেছি। কতিপয় মূলনীতির বাংলাদেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে দেখেছি। এসবের প্রধান মূলনীতি হচ্ছে আধিপত্যের বিরুদ্ধে আমরা আমাদের লড়াই চালিয়ে যাবো।’
তিনি বলেন, ‘আধিপত্য মোকাবেলায় আমাদের প্রধান যে আদর্শ সেটি হচ্ছে বাংলাদেশের আত্মপরিচয় ধারণ করা। এই বাংলাদেশের জমিনের অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে হলে আমরা যে বাংলাদেশী সেই বাংলাদেশে পন্থাকে আমাদের অন্তরে ধারণ করতে হবে।’
আলোচনা সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট তাজুল ইসলাম, ইসলামিক স্কলার ও নোয়াখালী কারামতিয়া কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ ড. মুহাম্মদ আমীনুল্লাহ, ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের নোয়াখালী জেলা সভাপতি ডা. সোহরাব হোসেন ফারুকী, আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য বখতিয়ার মুজাহিদ সিয়াম, কেন্দ্রীয় সদস্য সাজ্জাদ সাব্বির, সিনিয়র সাংবাদিক ও দৈনিক ইনকিলাবের নোয়াখালী জেলা সংবাদদাতা এহ্সানুল আলম খসরু প্রমুখ।