ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হেলাল উদ্দিন ও মহানগর পূর্বের সভাপতি আসিফ আব্দুল্লাহর যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গুম, খুন, আয়নাঘর তৈরি করে মুক্তিকামী জনতাকে দমন করতে চেয়েছিল ফ্যাসিস্ট শক্তি। কিন্তু ইতিহাসের অনিবার্য দাবিতে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। জুলাই শুধু একটি আন্দোলনের নাম নয়, এটি একটি জাগরণের নাম।’
তিনি বলেন, ‘জুলাই ছিল আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লাল কার্ড। যারা বন্যা ও খরার সময়ে পানি বৈষম্য করে, ফেলানীকে হত্যা করে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখে—তারা কখনও আমাদের বন্ধু হতে পারে না। তারা দেশের অভ্যন্তরে গোয়েন্দাগিরি করে আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য চরম হুমকি সৃষ্টি করছে।’
আরও পড়ুন:
তিনি আরও বলেন, ‘একটি শ্রেণি আন্দোলনে অংশ নিয়ে এখন ক্রেডিট নেওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই—এই আন্দোলন কোনো একক দল বা ব্যক্তির নেতৃত্বে হয়নি। ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল রাজনৈতিক শক্তি এবং সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ এতে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।’
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘অবিলম্বে গণহত্যার বিচার সম্পন্ন করতে হবে। সকল তথ্য-উপাত্ত থাকা সত্ত্বেও যদি একজন হত্যাকারীরও বিচার না হয়, তাহলে সেটি সরকারের চরম ব্যর্থতা। এটি কোনো বিপ্লবী সরকার নয়, বরং একটি অলস সরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘নানা ষড়যন্ত্র ও প্রোপাগান্ডা মোকাবিলা করে ছাত্রশিবির আজকের এই অবস্থানে এসেছে। ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণার ৫ দিনের মধ্যেই ফ্যাসিবাদ পালাতে বাধ্য হয়েছিল। এখন যারা নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদের প্রতি আহ্বান—অতীত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ, প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মু’তাসিম বিল্লাহ শাহেদী, ছাত্র অধিকার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম, শিল্প ও সংস্কৃতি সম্পাদক হাফেজ আবু মুসা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি এস. এম. ফরহাদ, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি রেজাউল করিম শাকিল, মহানগর পশ্চিম সভাপতি হাফেজ আবু তাহেরসহ কেন্দ্রীয়, বিশ্ববিদ্যালয় ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ।