তিনি বলেন, ‘কোনো ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। অনেক রক্ত বিএনপি দিয়েছে। ১৭ বছরে বিএনপির রক্ত রঞ্জিত হয়েছে বাংলাদেশের রাজপথ। বিএনপি রক্ত দিতে ভয় পায় না। বিএনপি ভয়ে ছদ্মনামে অন্য দলে যায় না। বিএনপি রক্ত দেয়, নিজ পরিচয়ে থেকেই, শহীদ জিয়ার পরিচয়ে থেকেই, বিএনপির পরিচয়ে থেকেই রক্ত দেয়। রক্ত আরও দেবো আমরা, কিন্তু আমরা কোনো ষড়যন্ত্রের কাছে মাথানত করবো না।’
আহমেদ আযম খান বলেন, ‘এ দেশটা স্বাধীন করেছিলাম গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের জন্যে, মানবাধিকারের জন্যে, আইনের শাসনের জন্যে। এ দেশটা আফগানিস্তান করবার জন্য স্বাধীন করি নাই। এ দেশটা কোনো জঙ্গিবাদের দেশে পরিণত করার জন্য স্বাধীন করি নাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘গভীর ষড়যন্ত্র চলছে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা যাতে না হয়, জনগণের ভোটের অধিকার যাতে প্রতিষ্ঠিত না হয়, নির্বাচিত সরকার যাতে না আসতে পারে, সেজন্য কঠিন ষড়যন্ত্র চলছে। এ ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলার জন্য আপনাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশের ভেতরে এবং দেশের বাহিরে ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ষড়যন্ত্র করছে পলায়নরত ফ্যাসিবাদী শক্তি ও একাত্তরের ওই পরাজিত শক্তি।’
আরও পড়ুন:
চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক এম বেল্লাল হোসেনের সভাপতিতে সম্মেলন উদ্বোধন করেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন বাচ্চুর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ ভিপি হারুন, ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শাহাবুদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট হাছিবুর রহমান, বাফুফের সহ-সভাপতি মো. ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপী ও সদর (পূর্ব) উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের সদর থানা বিভক্ত হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা গঠিত হয়। ২০২২ সালে ২৯ অক্টোবর সদর (পূর্ব) উপজেলা বিএনপি থেকে বিভক্ত করে সম্মেলন ছাড়াই চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে জেলা বিএনপি।