৩৭ বছরে এমন দুঃসাহস কেউ দেখায়নি। মাহফিজুর রহমান সাগরের এ একটি কথাই হয়তো বলে দেয়, ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেয়া কতখানি চ্যালেঞ্জের। স্থানীয় সময় রাত আড়াইটায় নেমেছিলেন সমুদ্রে। রিলের শুরু আর শেষ দুটোই তার মাধ্যমে। ব্রজেন দাস আর মোশাররফ হোসেন খানের মতো কিংবদন্তিদের পাশে এখন শোভা পাচ্ছে মাহফিজুর সাগরের নাম।
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেয়া যেকোনো সাঁতারুর জন্য বড় স্বপ্ন। সাগর জানালেন, এমন একটা স্বপ্নের জন্য গত ১০ বছর ধরে অপেক্ষা করেছেন তিনি। স্বপ্ন পূরণের অনুভূতি ছিলো অনন্য।
অলিম্পিয়ান সাঁতারু ও সদস্য মাহফিজুর রহমান সাগর বলেন, ‘৩৭ বছরে কেউই এ দুঃসাহস দেখায়নি। অতীতে তিনজন একা একা করেছিল। ওই সময়ের যে মুহূর্ত এটা ছিলো ১০ বছরের সাধনা। আমি ব্যক্তিগতভাবে ২০১৫-১৬ থেকে চেষ্টা করেছি যেভাবেই হোক আমি ইংলিশ চ্যানেল করবো। ওই সময় মনে হয়েছে সব কমপ্লিট। আমি যা চেয়েছি সব করেছি।’
অলিম্পিকে বাংলাদেশের পতাকা বহন করেছেন, আছে বর্ণিল ক্যারিয়ার। নিজের সময়ে সাগরই ছিলেন বাংলাদেশ সাঁতারের পোস্টারবয়। তবে এখন পুলের বদলে নিজের ঠিকানা বানিয়েছেন ওপেন ওয়াটারে। সেই পরিচয়টাই বহন করতে চান সামনের দিনগুলোতে।
আরও পড়ুন:
মাহফিজুর রহমান সাগর বলেন, ‘নিজেকে ওপেন ওয়াটার সুইমার হিসেবে বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবো। যেহেতু সাঁতারু, তাই আমি সবসময় সাঁতারু পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবো। ভবিষ্যতে সাঁতারু হিসেবেই থাকতে চাই কিন্তু একটু ভিন্নভাবে।’
মাহফিজুর রহমান সাগরের নামের পাশে আছে নতুন পরিচয়। একসময় পুলে দাপিয়ে বেড়ানো সাগর এখন সাঁতার ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী সদস্য। সামনে লক্ষ্য, দেশের সাঁতারের গৌরবময় দিন ফেরত আনার।
তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করছি। ভবিষ্যতে আমাদের সাঁতার যেন পূর্বের মতো গৌরবময় অবস্থানে যেতে পারে।’
মাহফিজুর রহমান নিজে এসএ গেমসে স্বর্ণপদক জিতেছেন। বর্তমানে আছেন কোচের ভূমিকায়। তার দেখানো পথে একদিন তরুণ সাঁতারুরা আরও বড় কিছু করবে এমন স্বপ্নই দেখেন তিনি।