লাক্কাতুরায় শেষ বিকেলে যেন সাদা পোশাকে ওয়ানডে ম্যাচ দেখলো দর্শকরা। বাংলাদেশের ১৯১ রানের পর ব্যাট করতে নেমে ১৪ ওভারেই ৬৭ রান তুলেছেন জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও বেন কারান।
তাইজুল ইসলাম বাদে টাইগার ভাণ্ডারের সব অস্ত্রই ব্যবহার করেছেন ক্যাপ্টেন শান্ত। তবে হাপিত্যেশ করেই দিন শেষ হয়েছে স্বাগতিকদের।
দিনের সূর্য সর্বদা সঠিক বার্তা যে দেয় না তারই প্রমাণ বোধহয় প্রথম দিন। টস থেকে শুরু করে ম্যাচের প্রথম আধাঘণ্টা সবই গেলো বাংলাদেশের পক্ষেই।
এরপরেই ছন্দপতন। রোডেশিয়ান পেসার ভিক্টর নুয়াচির বলে এক রানের ব্যবধানে বিদায় নেন দুই ওপেনার সাদমান ও জয়।
প্রথম সেশনের পরের অংশ শান্ত-সৌরভের ব্যাটে নিরাপদেই কাটায় টাইগারবাহিনী। মাঝে বৃষ্টি ও মধ্যাহ্ন বিরতির পর আবারো রৌদ্যজ্জ্বল সিলেটের আকাশ। আর এতেই যেন জ্বলে ওঠে ব্লেসিং মুজারাবানি- ওয়েলিংটন মাসাকাদজারা।
শান্ত ও মুশফিকের আবারও অবিবেচকের মতো আউট হওয়ার পর ফিফটি তোলেন মুমিনুল। এরপর যেন বড় ভাই মুশফিকের ভূত চাপে তার মাথায়। সেট হয়েও উইকেট ছুঁড়ে আসেন তিনিও।
মিরাজ তাইজুলরাও দেড়শর আগেই ফিরলে ঘরের ছেলে জাকের আলী অনিক ও হাসান মাহমুদের ব্যাটে ১৮০ পেরোয় টাইগাররা। অষ্টম ব্যাটার হিসেবে ১৮৮ রানে হাসান প্যাভিলিয়নে গেলে বেশিক্ষণ টিকেনি স্বাগতিক ইনিংস, ১৯১ রানেই থামে বাংলাদেশ।