সন্দেহাতীতভাবেই বিপিএলের গোড়ার সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক জটিলতা। তবে সেই দিন বোধ হয় পেছনে ফেলতে চান নতুন বোর্ড প্রধান। প্রথম সভাতেই ফ্রাঞ্চাইজিগুলোকে দেয়া হয়েছে কঠোর বার্তা। পাশাপাশি বড় অঙ্কের পাওনা বাকি থাকলেও শর্তসাপেক্ষে ফ্রাঞ্চাইজিদের টিকেটের লভ্যাংশ দিতে চায় বিসিবি।
বিসিবি পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন, ‘তাদের ডিউ পেমেন্ট কার কত আছে। আমরা কোনো টাকা রিলিজ করবো না তাদের পেমেন্ট ক্লিয়ার না হওয়া পর্যন্ত।’
সারাদেশ থেকে মেধাবী ক্রিকেটার তুলে আনতে ক্রিকেট বিকেন্দ্রীকরণের দিকেও নজর বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের। এছাড়াও ক্রিকেটের অবকাঠামোগত মানোন্নয়ন, প্রশিক্ষিত ও দক্ষ কর্মী গড়ে তুলতে একাধিক প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে বিসিবি। এসব ক্ষেত্রে যোগ্যদের অগ্রাধিকার দেয়ার জন্য আয়োজিত হবে ট্যালেন্ট হান্ট এবং প্রশিক্ষক হিসেবে থাকবেন বিশেষজ্ঞ পরামর্শক।
ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন, ‘কয়েকটি বিষয় শুরু হচ্ছে ট্যালেন্ট হান্ট প্রোগ্রামের মাধ্যমে। উত্তরবঙ্গে একটা হবে। ওখানে ক্রিকেট বোর্ডের অফিস বানিয়ে ডিসেন্ট্রালাইজ করে দেবে। যেটা আমাদের অনেক দিনের স্বপ্ন। এতদিন পর মনে হয় স্বপ্ন সত্যি হবে।’
বিসিবির নতুন সভাপতিকে অন্যদের তুলনায় ব্যতিক্রম মনে করেন পরিচালক ইফতেখার মিঠু। দীর্ঘদিন আইসিসির ডেভলপমেন্ট বিভাগে কাজ করার অভিজ্ঞতার আলোকে প্রথম বোর্ড সভাতেই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিসিবি প্রধান।
ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন, ‘এই সভাপতি নিজে প্রেজেন্টেশন দিলো। এটা আগে দেখিনি। চেয়ারম্যানদের বলেছেন যে আমাদেরও একটা করে প্রেজেন্টেশন দিতে যে প্রতিটি বিভাগে কী কী করতে হবে সেটার উপর।’
ক্রিকেটের হাল ধরার যাত্রায় আরেকজন নতুন পথপ্রদর্শকের শরণাপন্ন ক্রিকেট বোর্ড। যেখানে আছে পুরনো কিছু প্রতিশ্রুতি আর এগিয়ে যাওয়ার প্রয়াসে নতুন লক্ষ্য। তবে আরও একবার পুরনো গল্পের পুনরাবৃত্তি হবে না কি আসলেই সফলতার মুখ দেখবে ক্রিকেট বোর্ড, ভক্ত-সমর্থকরা পাখির চোখ করে থাকবে সেদিকেই।