১৯ অক্টোবর, ২০২৩। ভারতের পুনেতে বিশ্বকাপে স্বাগতিকদের মুখোমুখি বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে সেই ম্যাচটাকে এই মুহূর্তে লিটন দাসের ক্যারিয়ারের জন্য আলাদা করে মনে রাখা যেতেই পারে। সেদিন ডানহাতি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার খেলেছিলেন ৬৬ রানের ইনিংস। সেই ম্যাচের পর এক বছর আট মাস পেরিয়ে গিয়েছে। বদলেছে অনেক কিছুই। কিন্তু লিটন আর ওয়ানডে ফরম্যাটে নিজের রান নিতে পারেননি ফিফটির ওপারে। শতকের প্রসঙ্গ এলে লিটনের অপেক্ষাটা তিন বছর চার মাসের। ২০২২ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষবার সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটার।
গেল বছর সিরিজের মাঝপথে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল তাকে। এরপরেই ডাক পেয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ আর শ্রীলঙ্কা সিরিজে। কিন্তু নিজেকে প্রমাণ করাই হয়নি জোরালো ভাবে। সবশেষ গতকাল প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও লিটন ছিলেন ব্যর্থ। ফিরেছেন শূন্য রানে। সেই সুবাদে লঙ্কানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ডাকের রেকর্ডেও উঠে গিয়েছে লিটনের নাম। মোট ৫ বার এশিয়ান এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে রান করতে পারেননি তিনি। এই তালিকায় তার সঙ্গে আছেন পেসার রুবেল হোসেন। আর পরিসংখ্যান বলছে, ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৬ ডাকও এখন লিটন দাসের।
লিটন যখন নিজের ফর্ম খুঁজে পেতে মরিয়া, ঠিক তখনই নুরুল হাসান সোহান নিজেকে বারবার প্রমাণ করেও উপেক্ষিত। ঘরোয়া ক্রিকেটের আসর কিংবা 'এ' দল সবখানেই হেসেছে সোহানের ব্যাট। সঙ্গে আছে অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতা। এমনকি চলতি সিরিজের দল ঘোষণার সময়েই সোহানের ফর্মে থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন স্বয়ং প্রধান নির্বাচক।
তবে এতকিছুর পরেও সোহান ব্যস্ত তার ফ্র্যাঞ্চাইজি দল রংপুর রাইডার্স নিয়ে। খেলবেন গ্লোবাল সুপার লিগ। অন্যদিকে লিটন জাতীয় দলের জার্সি নিয়েই ফর্ম ফিরে পাওয়ার লড়াই করছেন। নির্বাচকদের ব্যাখ্যা, যুক্তি আর বাস্তবতার লম্বা ব্যবধান পার করে লিটন কিংবা সোহানের গতিপথ সামনের দিনে কোথায় হবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।