দক্ষিণ আফ্রিকা মানেই যেন পেসারদের দাপট, গতির ঝড়, আর সুইং বোলিংয়ের পসরা। এবারের ‘ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা অ্যাওয়ার্ডস’ যেন সেই পরিচিত ছবিটাই বদলে দিল। বর্ষসেরা ক্রিকেটার হয়েছেন দুই স্পিনার-পুরুষ বিভাগে কেশাভ মহারাজ এবং নারী বিভাগে ননকুলুলেকো লাবা। ইতিহাস বলছে, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে এমন স্পিনের দাপট এবারই প্রথম।
২০২৪-২৫ মৌসুমের পারফরম্যান্স মূল্যায়নের ভিত্তিতে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। বিবেচনায় ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া পারফরম্যান্স।
২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেরা পারফরমার নরকিয়া জিতেছেন বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টির পুরস্কার। বিশ্বকাপে তিনি যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ উইকেট শিকার করেছেন। ৯ ম্যাচে তার ইকোনমিও ছিল ঈর্ষণীয়, ৫.৭৪।
জুনে অনুষ্ঠিত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে প্রথমবার ফরম্যাটটিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। জয়ী অধিনায়ক টেন্ডা বাভুমা হয়েছেন বর্ষসেরা টেস্ট খেলোয়াড়। ২০২৫–২৭ চক্রে ৫৯.২৫ গড়ে করেছেন ৭১১ রান । তার দুটি সেঞ্চুরি প্রোটিয়াদের ফাইনাল নিশ্চিত করতে বড় ভূমিকা রাখে।
এ ছাড়া পুরুষ ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ষসেরা খেলোয়াড় হয়েছেন স্পিন অলরাউন্ডার কেশভ মহারাজ। ২০২৩–২৫ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে ২০.৯৫ গড় তিনি নেন ৪১ উইকেট । ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৬.২৫ ইকোনমিতে ১১ উইকেট নিয়ে ছিলেন দলের তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।
নারী ক্রিকেটেও দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন নায়িকার নাম ননকুলুলেকো লাবা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ১২ উইকেট নিয়ে ছিলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। দক্ষিণ আফ্রিকার নারী টেস্ট ইতিহাসের প্রথম বোলার হিসেবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক টেস্টে ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তিও গড়েছেন তিনি।
মাঠের বাইরে, কোচিং বিভাগেও ছিল চমক। ডিভিশন ওয়ানে বাংলাদেশের সাবেক প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো হয়েছেন বর্ষসেরা কোচ।