চার বলে চার ছক্কা। হালের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমন কীর্তি কোনোভাবেই বিরল দৃশ্য না। তবে প্রতিপক্ষ যদি হয় অস্ট্রেলিয়া, সেক্ষেত্রে এই দৃশ্য একেবারেই অচেনা। ২০০৫ সালে টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার শুরু, বিগত ২০ বছরে কখনোই চার বলে চার ছক্কা হজম করেনি তারা। সেই তিক্ত স্বাদ অবশ্য পেয়েছে সবশেষ ম্যাচেই। দক্ষিণ আফ্রিকার ডেয়াল্ড ব্রেভিস অ্যারন হার্ডির ওভারে চার বল থেকে আদায় করে নিয়েছেন ৪ ছক্কা। অবশ্য, পুরো সিরিজে ব্রেভিসের ব্যাটিং অনুযায়ী, এমন কিছুই ছিল প্রত্যাশিত।
৩ ম্যাচে করেছেন ১৮০ রান। সেঞ্চুরি আছে ১টি, ফিফটি আছে ১টি। গড় ৯০। ব্যাট চালিয়েছেন ২০৪ স্ট্রাইকরেটে। ডেয়াল্ড ব্রেভিসের এই ক্ষুদ্র পরিসংখ্যান বলে দেয় তিন ম্যাচের সিরিজে কতটা বিধ্বংসী ছিলেন এই ব্যাটার।
দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটে এক টি-টোয়েন্টি সিরিজে সবচেয়ে বেশি রানের তালিকায় উঠে এসেছেন দ্বিতীয় স্থানে। সবার ওপরে থাকা কুইন্টন ডি কক ২৫৫ রান করেছিলেন ৫ ম্যাচের সিরিজে। ৩ ম্যাচের বিবেচনায় ব্রেভিসের রানই থাকছে সবার ওপরে।
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৪১ বলে করেছিলেন সেঞ্চুরি। অপরাজিত ছিলেন ১২৫ রানে। প্রোটিয়া ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টিতে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের স্কোর এখন ব্রেভিসের।
সবচেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরির রেকর্ডটাও তার। সেইসঙ্গে দ্রুততম সেঞ্চুরির তালিকাতেও দুইয়ে উঠে এসেছে তার সেই সেঞ্চুরি। এর ওপরে আছে কেবল বাংলাদেশের বিপক্ষে ডেভিড মিলারের করা ৩৫ বলের সেঞ্চুরি। এছাড়া টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ১০ ইনিংসে সবচেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেটের রেকর্ডও এখন ব্রেভিসের সঙ্গী।
নিজের আগ্রাসী ব্যাটিং দিয়ে এরইমাঝে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের বড় নামে পরিণত হয়েছেন ডেয়াল্ড ব্রেভিস। প্রোটিয়া এই ব্যাটার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও প্রমাণ করেছেন নিজের কার্যকারিতা। সামনের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তারুণ্যনির্ভর দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য বড় ভরসা হয়েই মাঠে নামবেন ব্রেভিস।