এশিয়া কাপ নিয়ে আশার বাণী লিটনের, নিজেদের সেরাটা দেয়ার প্রত্যয়

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন কুমার দাস
ক্রিকেট
এখন মাঠে
0

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজ জিতে এশিয়া কাপের আগে নিজেদের প্রস্তুতি শেষ করেছে টিম বাংলাদেশ। ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই নিজেদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করেছে টাইগাররা। সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লিটন জানালেন স্কোয়াডের সবাইকে পরখ করা, পরস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং ও আসন্ন এশিয়া কাপে নিজেদের সেরাটা দেয়ার প্রত্যয়।

সিলেটে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৩ ম্যাচ জিতে নিজেদের প্রস্তুতিটা ভালোভাবেই সেরেছে টিম বাংলাদেশ। টানা ৩ সিরিজ জয়ে আত্মবিশ্বাসের শিখরে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজের আগে বেশ লম্বা সময় অনুশীলন করেছিল বাংলাদেশ দল। যে কারণে নিজেদের ব্যাটিংয়ের ঠিকঠাক পরীক্ষা এবং প্রস্তুতি সম্পন্ন করে টাইগাররা।

তবে আগের দুই ম্যাচে পরে ব্যাটিং করায় শেষ ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ের তাগিদ ছিল টিমের। টসে জিতে ডাচরা ফিল্ডিং নেয়ায় সে সুযোগটাও কাজে লাগায় লিটন বাহিনী।

বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন কুমার দাস বলেন, ‘সব ব্যাটারের জন্যই সিলেট একটা ভালো গ্রাউন্ড, খেলেও অনেক মজা। উইকেটে যখন হেল্প হয়, বোলাররা উইকেটে যখন হেল্প পায় তখন রান রেট কমবে সেটাই স্বাভাবিক। এখানে যেকোনো ব্যাটার ব্যাট করলেই রানরেটটা কমতো। তবে আমরা ভালো ফিনিশিংয়ের পথেই যাচ্ছিলাম।’

৯ সেপ্টেম্বর পর্দা উঠবে এশিয়া কাপের। যেখানে লিটন-মুস্তাফিজরা ‘বি’ গ্রুপে খেলবে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের মতো দলের বিপক্ষে। তার আগে নিজেদের সর্বশেষ তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে টাইগারদের প্রস্তুতিতে সন্তুষ্ট অধিনায়ক।

আরও পড়ুন:

লিটন কুমার দাস বলেন, ‘যারাই সুযোগ পেয়েছে, ভালো ক্রিকেট খেলেছে। অনুশীলনটা গুরুত্বপূর্ণ, তার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সেটা আপনি ম্যাচে কতটা ডেলিভার করতে পারছেন। ম্যাচ খেললে আপনার উন্নতি হবে, গেম সেন্স বাড়বে। আমার মনে হয় আমরা এশিয়া কাপের জন্য প্রস্তুত।’

শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান ছাড়া বাংলাদেশের গ্রুপে অপর প্রতিপক্ষ হংকং। গ্রুপপর্বে আফগানদের বিপক্ষে শক্ত লড়াই অপেক্ষা করছে টাইগারদের জন্য। তবে তাদের বিপক্ষে ভালো খেলার প্রত্যয় অধিনায়ক লিটনের কণ্ঠে।

লিটন বলেন, ‘আমি অনেক উপভোগ করি। উপভোগ করি বলেই অধিনায়কত্বের দায়িত্বটা নিয়েছি। ব্যাক টু ব্যাক অনেকগুলো সিরিজে ভালো ক্রিকেটও হয়েছে। আমার পারফর্ম করাটা দলের জন্যও দরকার। কারণ দলনেতা হিসেবে যখন আমি পারফর্ম করতে ব্যর্থ হবো, তখন দল মোরালি ডাউন থাকে। আমার দলের সবাই পারফর্ম করতেছে, তাই আমার জন্যও এটা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল যে, আমার দিক থেকে যেন ইনপুটটা দিতে পারি আমি।’

১১ সেপ্টেম্বর হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের মিশন। এরপর ১৩ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কা এবং ১৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। বাংলাদেশের তিনটি ম্যাচই হবে আবুধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।

এসএইচ