জাকের আলী অনিক। বাংলাদেশের মিডল অর্ডারে এই মুহূর্তের সবচেয়ে বিশ্বস্ত মুখের একজন। এশিয়া কাপে যাচ্ছেন মোট ৬৩ বলের প্রস্তুতি নিয়ে। পাকিস্তান সিরিজে খেলেছেন ৫০ বল। নেদারল্যান্ডস সিরিজে ছিল ১৩ ডেলিভারি। এর মাঝে অবশ্য পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের ২য় ম্যাচেই খেলেছিলেন ৪৮ বলের ইনিংস।
জাকের আলী অনিকের মতো একই অবস্থা তাওহীদ হৃদয়, শামীম পাটোয়ারিদের। রেকর্ড বুক বলছে, সবশেষ দুই সিরিজ মিলিয়ে শামীম হোসেন পাটোয়ারি খেলেছেন ২৮ বল।
আরও পড়ুন:
হৃদয় খেলেছেন ৬৪ বল আর নেদারল্যান্ডস সিরিজের এক ম্যাচে নুরুল হাসান সোহান খেলেছেন ১১ বল। শেখ মেহেদি হাসান পাকিস্তান সিরিজে খেলেছেন ৩৩ বল। ডাচদের বিপক্ষে সিরিজে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি। টপ অর্ডারের রান পাওয়ার পাশাপাশি এজন্য অবশ্য নিজেদের দিকেও দায় নিতে হচ্ছে মিডল অর্ডারকে।
সদ্য সমাপ্ত দুই সিরিজে নিজেদের পাওয়া সুযোগটাও কাজে লাগানো হয়নি টাইগার ব্যাটারদের। সবশেষ ৬ ম্যাচে শীর্ষ চার ব্যাটারের বাইরে ফিফটি এসেছে মোটে একটি।
ত্রিশ পেরুনো ইনিংস ২টি। টপ অর্ডারদের ব্যর্থতার দিনে মিডল অর্ডারের ব্যাটাররাও পারেননি নিজেদের মেলে ধরতে। কখনো জাকের আবার কখনো সাইফুদ্দিনরা 'ওয়ান ম্যান আর্মি' হয়ে দলের মান বাঁচানোর লড়াই চালিয়েছেন।
অবশ্য সুযোগ পেয়েও বিপরীতে টপ অর্ডারদের মধ্যেও আছে ধারাবাহিকতার অভাব। পাকিস্তান সিরিজে লিটনের রান ১৭। তানজিদ তামিম পুরো সিরিজে করেছেন ১ রান।
ডাচদের বিপক্ষে সিরিজে অবশ্য লিটন-তামিমরা পেয়েছেন রানের দেখা। বাজে সময় গিয়েছে পারভেজ ইমনের। অবশ্য, এসবের ভিড়েও সুযোগ না পাওয়া মিডল অর্ডারটাই যেন এশিয়া কাপে দুশ্চিন্তার কারণ।