প্যারিস শহরের আছে আইফেল টাওয়ার সহ বেশ কিছু ঐতিহ্য। নেই শুধু উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ট্রফিটা। অন্যদিকে ইতালির শহর মিলানের আছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দশ-দশটি ট্রফি। এসি মিলান সাতবার ও ইন্টার মিলান তিনবার জিতেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা। ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত ট্রফিটি নতুন ঠিকানা হবে কোনটি তার নিষ্পত্তি হবে আজ।
তিন বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলতে যাচ্ছে ইন্টার মিলান। ২০২২-২৩ আসরের ফাইনালে ইতালিয়ান ক্লাবটি হেরেছিল ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে। এই প্রতিযোগিতায় তারা সবশেষ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ২০১০ সালে। ইন্টারের সামনে এবার চতুর্থ শিরোপার হাতছানি।
ফাইনালে ওঠার পথে কোয়ার্টার-ফাইনালে তারা বায়ার্ন মিউনিখ ও সেমি-ফাইনালে বার্সেলোনার মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়েছে। শেষ চারে কাতালান দলটির বিপক্ষে ইন্টারের দুই লেগের রুদ্ধশ্বাস লড়াই শেষে তারা জায়গা করে নিয়েছে ফাইনালে।
ফাইনালটা মূলত তারুণ্যের সঙ্গে অভিজ্ঞতার লড়াই। উসমান দেম্বেলে-আশরাফ হাকিমি-মার্কিনিয়োসদের নিয়ে গড়া পিএসজি কিছুটা এগিয়ে। এরই মধ্যে ঘরোয়া ট্রেবল জিতেছে লুইস এনরিকের দল। এখন পিএসজির অপেক্ষা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ঝা চকচকে ট্রফির দিকে। ইতিহাস গড়া থেকে মাত্র একটি জয় দূরে তারা।
অতীতে ইব্রাহিমোভিচ, নেইমার, কিলিয়ান এমবাপ্পে ও লিওনেল মেসির মতো মহা-তারকাদের নিয়েও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে পারেনি পিএসজি। সর্বোচ্চ সাফল্য ২০১৯-২০ মৌসুমে ফাইনালে খেলা। সেবার বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় তারা।
মিউনিখে ১৯৯৩ সালের ফাইনালে ইন্টারের প্রতিবেশী এসি মিলানকে হারিয়ে একমাত্র ফরাসি ক্লাব হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতেছিল মার্শেই। এবার কি পিএসজির পারবে প্যারিসকে নতুন রঙে রাঙাতে?