‘সিনসিয়ারিটি অ্যান্ড বিউটি’— লামিন ইয়ামালের নামের অর্থ এটাই। বার্সা কিংবা স্পেন, যেকোনো জার্সিতেই লামিন ইয়ামাল বিউটি অব ফুটবল। ফুটবল ভালো খেলেন অনেকেই তবে লামিন ইয়ামাল টিভি অন করতে বাধ্য করেন।
বিশ্বের অন্যান্য তারকা ফুটবলারদের চেয়ে জুনিয়র ইয়ামাল। কিন্তু একেকবার ৯০ মিনিটের জন্য মাঠে নামেন আর জানান দেন তিনি কেন স্পেশাল।
সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক ফুটবল পরিসংখ্যান ও অ্যানালাইলিটিক্যাল বেজড গ্রুপ সিআইইএসের তথ্যমতে, এই মুহূর্তে বিশ্বের সর্বোচ্চ দামি খেলোয়াড় লামিন ইয়ামাল। যেখানে আর্লিন্ড হ্যালান্ড ও জুড বেলিংহামদের বাজারদর প্রায় অর্ধেক।
আলোচনার টেবিলে ইয়ামালের অন্যতম প্রতিদ্বন্দী কিলিয়ান এমবাপ্পে বিংবা ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিয়ুসরা ইয়ামালের চেয়ে ঢের পিছিয়ে।
শুধু ২০২৪-২৫ মৌসুমেই ইয়ামাল যা করেছেন তা অবিশ্বাস্য। ক্লাব ও দেশের হয়ে গোল কিংবা অ্যাসিস্ট, পারফর্ম করেছেন সমানতালে। লা লিগায় সর্বোচ্চ রেটিং নিয়ে অনূর্ধ্ব ২৩ ফুটবলারদের মধ্যে হয়েছেন সেরা। ড্রিবলিংয়ে পেছনে ফেলেছেন ভিনিসিয়ুসকে।
বার্সাকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতাতে না পারলেও সেমির যাত্রায় করেছেন ৫ গোল ও ৩ অ্যাসিস্ট । ১৭ বছর বয়সের বিচারে যেটা বিস্ময়।
এমবাপ্পে নাকি ইয়ামাল কে সেরা? তর্কটা উঠে প্রায়ই। তবে মাঠে যখন তারা পরস্পরের প্রতিপক্ষ তখন সর্বশেষ ছয় সাক্ষাতে ইয়ামালের একক আধিপত্য। ব্যবধান ইয়ামাল ৬ এমবাপ্পে ০।
ব্যালন ডি-অর আলোচনায় শুরু থেকেই ফেভারিট ছিলেন রাফিনহা। তবে ধারাবাহিক পারফর্ম করে ব্যালন ডি-অর দৌড়ে শক্ত অবস্থান ইয়ামালের। প্রতিযোগিতায় আছেন ওসমান ডেম্বেলেও। কিন্তু জার্মান লিজেন্ড বাস্তিয়ান শোয়েন্সটাইগারদের মতো ফুটবল বোদ্ধাদের তালিকায় ফেভারিট লামিন ইয়ামাল।
এক সিজনে আইডল নেইমারের ২৩৯ ড্রিবলিং করার রেকর্ডও ইয়ামাল ভেঙেছেন সতেরোতেই। এরপরও ব্যলন ডি অরে ইয়ামালকে অপ্রত্যাশিত মনে হতে পারে। কিন্তু ফুটবল মাঠের সব গল্প আর সৌন্দর্য্য তো পরিসংখ্যানে ঠাই পায়না।
বল পায়ে প্রতিপক্ষকে তটস্থ করে রাখা, অসাধারণ গেম সেন্স, ক্ষীপ্রতা কিংবা দলে তার অনুপস্থিতি আপনাকে ইতিহাস সেরা মেসির কথা মনে করিয়ে দিবে।