উদযাপনের ম্যাচে ২০ মিনিটের ঝড়! অবশ্য ঝড় না বলে বলা যায় তাণ্ডব! আর তাতেই ধরাশায়ী তুর্কমেনিস্তান। কথায় আছে,'কুড়িতেই বুড়ি' আর তুর্কমেনিস্তান বিপক্ষে কুড়ি মিনিটেই ম্যাচের ভাগ্য লেখা শেষ।
ম্যাচের তিন মিনিটের মাথায় স্বপ্না রাণীর প্রথম গোলে লিড নেয় বাংলাদেশ। অবশ্য তখনো কেউ ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেনি পরের সতেরো মিনিটে ঠিক কি অপেক্ষা করছে তুর্কমেনিস্তানের জন্য। শামসুন্নাহার, ঋতুপর্ণা কিংবা তহুরা-মণিকারা একের এক গোল করে গোল বন্যায় ভাসিয়েছেন প্রতিপক্ষকে। প্রথমার্ধের ২০ মিনিটের গল্পটা এভাবেও বলা যায় রেফারি বাঁশি দিলো আর গোল হলো! নিদিষ্ট করে বললে উদযাপনের সময়ই যেনো পাচ্ছিলেন না ফুটবলাররা।
আরো পড়ুন:
ম্যাচের ৪০ মিনিটের ঋতুপর্ণার গোলটা যেন লিওনেল মেসির গোলের রিমেক। এএফসি উইমেন্সের বাছাইপর্বে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাম প্রান্ত থেকে কোনাকুনি শটে গোল করাটা যেন ঋতুপর্ণা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন। আর তাতেই প্রথমার্ধের আগে ৭ গোলের বড় লিড পায় লাল-সবুজরা। ম্যাচের ভাগ্যও যেন লিখা শেষ সেখানেই।
বাংলাদেশ-তুর্কমেনিস্তান ম্যাচের প্রথম ভাগ দেখেছেন এমন দর্শকদের জন্য ম্যাচের দ্বিতীয় ভাগ বিরক্তির উদ্রেক করবে। একদিকে বাংলাদেশের গোল ক্ষুধায় কিছুটা ভাটা পড়া আরেকদিকে তুর্কমেনিস্তানের আর গোল না খাওয়ার সংকল্প, দুইয়ে মিলিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে আর গোলের দেখা পায়নি কোনো দল।
বাহরাইনকে সাত গোলে হারিয়ে বাছাইপর্ব শুরু করেছিলো বাংলাদেশ। আর তুর্কমেনিস্তানকেও সাত গোলে হারিয়ে ইতি টানল ঋতুপর্ণারা। সাতে শুরু-সাতে শেষ আর মাঝখানে মিয়ানমারকে হারিয়ে লেখা ইতিহাস। এবার এশিয়ান কাপের প্রস্তুতি শুরুর আগে তহুরা-মনিকা-ঋতুপর্ণাদের উদযাপনের পালা।