ক্রীড়া পরিদপ্তর, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশের ৮টি বিভাগের প্রতিভাবান অনূর্ধ্ব-১৭ বালক ও বালিকাদের নিয়ে হয়েছে বেশ কিছু প্রতিযোগিতা। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে মোহাম্মদপুরে হয়েছে অনূর্ধ্ব-১৭ ডেভেলপমেন্ট কাপ। এছাড়া গেল বছর বাফুফে একাডেমি কাপ থেকেও করা হয়েছে ফুটবলার বাছাই।
সাফ ও এএফসি টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে সারা দেশ থেকে বাছাইকৃত ৯০ জন ফুটবলারকে নিয়ে চলছে অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল দলের ট্রায়াল। আগামী ১১ জুলাই পর্যন্ত জাতীয় স্টেডিয়ামে চলবে এই ট্রায়াল।
বাফুফে এলিট একাডেমির হেড কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন বলেন, ‘সাফ হলো অক্টোবরে আর এএফসি নভেম্বরে। প্লেয়ারদের নিয়ে আমাদের চার দিনব্যাপী ট্রায়াল চলছে। এর মাঝে একটা গ্রুপ আজকে এসেছে। তারা আজকে এবং কালকে অনুশীলন করবে। তারা চলে গেলে কালকে আরেকটা গ্রুপ আসবে। এরা ১০ এবং ১১ তারিখ অনুশীলন করবে।’
চূড়ান্ত দলের অনুশীলনে ৪০ থেকে ৪৫ জন কে রাখার পরিকল্পনা এলিট একাডেমির হেড কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটনের। এখন পর্যন্ত প্রবাসী কোন ফুটবলার না থাকলেও উন্মুক্ত আছে তাদের দরজা।
হেড কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন বলেন, ‘কমলাপুরে আমাদের আবাসিক ক্যাম্প। সেখানে প্লেয়াররা আসছে কালকে। সেখানে তারা কালকে থেকে অবস্থান করবে। তাদের থাকা খাওয়া সব কিছুই কমলাপুরে। ফেডারেশন সবসময় যোগাযোগ করছে। যদি এরকম যোগ্য কেউ থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের এখানে অন্তর্ভুক্ত হবে।’
মেয়েদের এশিয়ান এ যাওয়াকে দেশের ফুটবলের বড় অর্জন মানেন কোচ ছোটন। কৃতজ্ঞতা স্বরূপ স্মরণ করলেন মেয়েদের অভিভাবকদের।
তিনি বলেন, ‘মেয়েরা অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে এখানে এসেছে। মাঝখানে অনেক স্ট্রাগল গেছে। কিন্তু সবথেকে বড় সাপোর্ট যারা দিয়েছেন, যারা মুখ ফিরিয়ে নেয়নি তারা হলো অভিভাবক। তাদের কথা কেউ বলে না। কিন্তু আমি মনে করি তারাই মূল চালিকাশক্তি। কারণ তারা যদি মুখ ফিরিয়ে নিতো তাহলে আমরা এ সাফল্যটা পেতাম না। তাদের আমি স্যালুট জানাই।’