‘মেসি ম্যাজিক’— শব্দটা বহু পুরনো। পত্রিকার পাতা থেকে শুরু করে টিভির স্ক্রিন, এখনও সব জায়গাতেই শিরোনামে স্থান পায় এ শব্দ। ৩৮ বছর বয়সে এসেও ফুটবলে ধ্রুব সত্য এ শব্দকে বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন লিওনেল মেসি।
মেজর লিগ সকারে মেসির ইন্টার মিয়ামি ন্যাশভিলকে হারিয়েছে ২-১ গোলে। দু’টি গোলই এসেছে মেসির পা থেকে। প্রথম গোলটা করেছেন দুর্দান্ত এক ফ্রি কিক থেকে। আর দ্বিতীয় বার বল জালে জড়ান ন্যাশভিল গোলরক্ষকের ভুলে বল পেয়ে। তবে প্রথম গোলের পর গোল হজম করলেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে ততটা কষ্ট হয়নি মিয়ামির।
এবার আসা যাক মেসির রেকর্ডনামায়। জোড়া গোল করে এ ম্যাচে একসঙ্গে গড়েছেন দু’টি রেকর্ড, যা এ বয়সেও তাকে চেনাচ্ছে নতুন করে। জানান দিচ্ছে মেসি যতদিন সবুজ গালিচায় নামবেন ততদিনই গোলের কারুকাজটা ভালোভাবেই করবেন।
জোড়া গোলতো বহু আছে লিওনেল মেসির। তবে এ বয়সে মেজর লিগ সকারে টানা পাঁচ ম্যাচে গোল, যা অবিশ্বাস্য। একই সঙ্গে নিজের নামের সঙ্গে রেকর্ডের পাল্লাটাও দিনে দিনে ভারী করে তুলছেন বিশ্বকাপজয়ী এ তারকা। এর আগের ম্যাচেই টানা জোড়া গোলের রেকর্ড গড়েছেন মেসি।
মেজর লিগ সকারে টানা চার ম্যাচে জোড়া গোল ছিল না অন্য কোনো ফুটবলারের। এ ম্যাচে নিজের রেকর্ডটা আরও একধাপ উপরে তুললেন মেসি নিজেই।
শুধু জোড়া গোলের রেকর্ডই না ৬৯ গোল করে স্বীকৃত ফুটবলে ফ্রি কিক গোলে আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন মেসি। আর এক গোল করলেও ব্রাজিলের কিংবদন্তি পেলেকে ছুঁবেন।
এ রেকর্ডের সবাইকে ছাড়িয়ে যেতে হলে মেসিকে করতে হবে আরও ৯ গোল। তাহলেই ফ্রি কিকে সর্বোচ্চ গোলের মালিক জুনিনিওকে ছাড়িয়ে যাবেন।
মেজর লিগ সকারে টানা ৬ ম্যাচ জিতে ইস্টার্ন কনফারেন্সে ইন্টার মিয়ামির অবস্থান এখন ৫ নম্বরে। ১৯ ম্যাচ খেলে তাদের পয়েন্ট ৩৮। তিন নম্বরে আছে ন্যাশভিল। যদিও তারা ৩ ম্যাচ বেশি খেলেছে ইন্টার মিয়ামির থেকে। ২২ ম্যাচ খেলে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়ন।