নেপালের আন্দোলনে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানালেন জামাল ভূঁইয়া

সাংবাদিকদের নেপালের অভিজ্ঞতার বিষয়ে জানাচ্ছেন জামাল ভূঁইয়া, পেছনে ফাইটার জেট
ফুটবল
এখন মাঠে
0

গিয়েছিলেন প্রস্তুতি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিতে। কিন্তু মাঝপথে নজিরবিহীন সরকারবিরোধী আন্দোলন আর সহিংস বিক্ষোভের সাক্ষী হন জামাল ভূঁইয়া। আর এতেই বন্ধ হয়ে যায় দেশে ফেরার পথ। জাতীয় দলের তারকাদের জন্য উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় পড়েন বাংলাদেশের ফুটবল পাগল সমর্থকরা। নেপাল সফরে গিয়ে এমনই এক অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে বাংলাদেশের ফুটবল। ফিরে এসে দুঃসহ সেই অভিজ্ঞতার গল্প শোনালেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া নিজেই।

নেপালের হোটেলে রুদ্ধশ্বাস দুই দিন। জামাল ভূঁইয়া, তপু বর্মনদের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। হিমালয়ের পাদদেশে যখন সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল রাজধানী কাঠমান্ডু, টিম হোটেলে থাকা বাংলাদেশ দলের জন্য তখন প্রার্থনায় ফুটবল পাগল সমর্থকরা। দিন দুয়েকের অবরুদ্ধ জীবনের পর জামালরা দেশে ফিরেছিলেন সামরিক বিমানে।

নেপাল যাত্রার শেষ কদিনে ফুটবল আর জয়-পরাজয় ছাপিয়ে বড় হয়ে উঠেছিল ফুটবলারদের নিরাপদে দেশে ফেরা। বাফুফে, ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আর নেপালে বাংলাদেশের হাই কমিশন যৌথভাবে কাজ করেছিল ২৩ ফুটবলারকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে। দেশে ফেরার পরদিনই অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া গণমাধ্যমের সামনে শোনালেন সেই সময়ের কথা।

জামাল ভূঁইয়া বলেন, আসলে ওখানে যে প্রটেস্ট হয়েছে ওটায় যেতে চেয়েছিলাম। কারণ আমি মনে করেছি হোটেলে অত নিরাপত্তা নেই, রাস্তায় গেলে সেফটি থাকে।’

নেপালে বিক্ষোভটা কাছ থেকেই দেখেছিলেন জামাল। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার একটি ভিডিও ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল দেশে থাকা ভক্তদের মাঝেও। জামাল শোনালেন সেই ভিডিওর পেছনের গল্পটাও।

তিনি বলেন, ‘ওই সময় একটু ভয় পেয়েছি। কারণ আমরা চার তলাতে ছিলাম। আর আমি আমার রুমে ছিলাম। হঠাৎ আমি দেখছি ধোয়া আসছে। বাইরে দেখছি দুটো বাসায় আগুন লাগানো হয়েছে। কারণ ওখানে এমপি ছিল।’

দেশে ফেরার পর অবশ্য ফুটবলারদের মানসিক অবস্থা স্বাভাবিক আছে বলেই জানালেন বাংলাদেশি কাপ্তান।

সব শঙ্কা কাটিয়ে নিরাপদেই দেশে ফিরেছেন ফুটবলাররা। ফিরে গিয়েছেন নিজ নিজ ক্লাবে। নজর এবার ঘরোয়া ফুটবল আর আন্তর্জাতিক সূচিতে হংকং ম্যাচের দিকে। তার আগে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার প্রত্যাশা আরও একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার।

এএইচ