স্থবির শ্যুটিং ফেডারেশন, সাফে অংশ নিয়ে শঙ্কায় শ্যুটাররা

বাংলাদেশি একজন শ্যুটার
অন্য সব খেলা
এখন মাঠে
0

দীর্ঘ ৮ মাস পেরোলেও গঠিত হয়নি বাংলাদেশ শ্যুটিং ফেডারেশনের কমিটি। ফলে স্থবির হয়ে আছে সব কার্যক্রম। আসন্ন সাফে ভালো করা নিয়ে শঙ্কায় আছেন শ্যুটাররা। এদিকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বলছে, জুলাই-আগস্টে শ্যুটিং ফেডারেশনের অস্ত্র ব্যবহারের খবরে, সময় নিয়ে যাচাই-বাছাই করে কমিটি গঠন করবে তারা।

সম্ভাবনা এবং অর্জনের দিক দিয়ে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের অনেক ফেডারেশন থেকে এগিয়ে শ্যুটিং ফেডারেশন। তবে ক্রীড়ার অভিভাবকদের খামখেয়ালিপনায় এখন ধ্বংসের মুখে ব্যয়বহুল এই ফেডারেশন। মাঝে মধ্যে শ্যুটাররা অনুশীলন করলেও দীর্ঘদিন নেই কোনো প্রতিযোগিতার আমেজ। যে কারণে শ্যুটিংয়ের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন অনেকেই।

রাইফেল হাতে নিয়ে দেশের হয়ে অনন্য কীর্তি গড়েছেন। হয়েছেন ইতিহাসের অংশ! প্রথমবার বিশ্বকাপ শ্যুটিংয়ে ১০ মিটার এয়াররাইফেল নিয়ে দেশের ইতিহাসে সেরা সাফল্য অর্জন করা সহজ কথা নয়। নিয়মিত অনুশীলন আর ডিসিপ্লিনের কারণেই সাফল্য পেয়েছিলেন কামরুন নাহার কলি।

বাংলাদেশ দলের শ্যুটার কামরুন নাহার কলি বলেন, ‘আমরা আসলে এখন আর এর ভিতরে নেই। আমাদের কোচ নেই। আমাদের ফেডারেশনে অনুশীলন বন্ধ।’

তবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর পাল্টে গেছে অনেক কিছুই। সে সঙ্গে ভেস্তে যাওয়ার পথে শ্যুটারদের এত দিনের তপস্যা। দেশের ২৫টিরও বেশি ফেডারেশনের এডহক কমিটি ঘোষণা করলেও শ্যুটিং ফেডারেশনে দিকে নজর নেই যুব এবং ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের।

শ্যুটার কামরুন নাহার কলি বলেন, ‘আমাদের সাফে ভালো করার জন্য আমাদের টিমকে ৫ থেকে ৬ মাস ট্রেইনিংয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। হার্ড ট্রেইনিংয়ের মধ্য থেকে আমাদের ভিতর থেকে পছন্দ করে নিবে যে কে ভালো রেজাল্ট দিবে।’

শ্যুটার শোভন চৌধুরি বলেন, ‘একটা গেমসে তো আমাদের মেডেল পাওয়ার চান্স ছিল। অনেক আন্তর্জাতিক গেমসে আমরা যোগ দিতে পারিনি। এছাড়া জাতীয় কোনো গেমস হয়নি।’

যে কারণে ইতিহাস রচনা করা কামরুন নাহার শুধু নয়, ফেডারেশনের সব শ্যুটারেরই এখন বেহাল দশা। অভিভাবকহীন ফেডারেশনে অনুশীলনের সুযোগ পেলেও প্রতিযোগিতায় খেলতে না পারার আক্ষেপ কুড়িয়ে কুড়িয়ে খাচ্ছে দেশের শ্যুটারদের।

ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের বক্তব্যে পরিষ্কার, এডহক কমিটির অপেক্ষায় থমকে আছে ফেডারেশনের সব কার্যক্রম।

বাংলাদেশ শ্যুটিং ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব লে. কর্নেল মো. আলী সোহেল বলেন, ‘এই ধরনের খেলায় যোগদানের জন্য একটা ফান্ডিংয়ের প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়া দুইটা প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে পারেনি হয়তোবা পূর্ণাঙ্গ কমিটি থাকলে তারা পাঠাতে পারতো।’

শ্যুটিং ফেডারেশনের বন্দুক জুলাই আগস্টের অভ্যুত্থানে ব্যবহারের খবরে কমিটি ঘোষণার আগে অনেক বেশি সচেতন মন্ত্রণালয়।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলাম বলেন, শ্যুটিং কমিটির এডহক কমিটির প্রস্তাব আমরা পেয়েছি। এইটা আমরা রাষ্ট্রের নির্দিষ্ট কয়েকটা সংস্থার কাছে দেখার জন্য পাঠিয়েছি।

শ্যুটাররা আশা করছেন, দ্রুত সমস্যা সমাধান করে আবারও বন্দুক রাইফেল নিয়ে প্রতিযোগিতায় নেমে সাফল্য ছিনিয়ে আনবেন তারা।

সেজু