
স্রোতের তোড়ে ডুবছে সিলেটের গ্রাম, স্থানীয়দের দুর্ভোগ
স্রোতের কাছে হার মানছে স্থানীয়দের প্রাণপণ চেষ্টা। কুশিয়ারা নদীর বাঁধ উপচে সিলেটের জকিগঞ্জের বেশ কয়েকটি গ্রামে ঢুকছে পানি। প্রতিবছর ঢলের পানিতে এমন দুর্ভোগে প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দুষছেন এলাকাবাসী। বিপৎসীমার ওপর দিয়ে কুশিয়ারার পানি বইছে, এমন যুক্তি দেখিয়ে দায় সেরেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। আর স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, বন্যা মোকাবিলায় নেয়া হয়েছে সব প্রস্তুতি।

বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে নদ-নদীর পানি, আতঙ্কে স্থানীয়রা
টানা কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে সিলেট বিভাগের কয়েকটি জেলায় বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে নদ-নদীর পানি। এতে বন্যা আতঙ্কে দিন পার করছেন স্থানীয়রা।

আট মাসেও মেরামত হয়নি হবিগঞ্জের স্লুইসগেটের সংযোগ সড়ক
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে গেল বন্যায় ভেঙে যাওয়া কৈয়ার ঢালা স্লুইসগেটের সংযোগ সড়ক আট মাসেও মেরামত হয়নি। এতে বিঘার পর বিঘা জমির বোরো ফসল নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। তাদের দাবি, স্লুইসগেটের ভাঙা অংশটি দ্রুত মেরামত করা না হলে, চৈত্রের মাঝামাঝি সময়ে কুশিয়ারা নদীতে পানি আসলে ডুবে যেতে পারে তিন উপজেলার বোরো ফসল।

পানির নিচে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১১ জেলা; যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন
৪ দিন পরেও পানির নিচে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১১ জেলা। বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ, মোবাইল নেটওয়ার্ক ও সড়ক যোগাযোগ। এরইমধ্যে কিছু স্থানে পানি নামতে শুরু করলেও কমেনি দুর্ভোগ। সারা দেশে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন।

সিলেটে বন্যার পানি কমলেও বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যের সংকট
সিলেট অঞ্চলের বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে সিলেট জেলাসহ সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের বেশিরভাগ নদ-নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার ওপর দিয়ৈ প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যের সংকট।

পানিবন্দি ২০ লাখ মানুষ; কমেছে বৃষ্টিপাত, দৃশ্যমান হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতি
বানের জলে ভাসছে সিলেট অঞ্চল। সীমাহীন দুর্ভোগে ৪ জেলার পানিবন্দি ২০ লাখ মানুষ। সিলেট ও সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাত কমলেও কমেনি বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ। পানি কিছুটা কমায় জনমনে স্বস্তি আসলেও ক্ষয়ক্ষতির চিত্র আরও দৃশ্যমান হচ্ছে। যদিও হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। পানিবন্দি মানুষের মাঝে তৈরি হয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।