
ক্যাশলেস লেনদেনে অগ্রগতি ধীর, সরকারের ঘোষণা কতটুকু বাস্তবসম্মত?
ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ে কারসাজি ঠেকাতে নীতিমালায় বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ডিজিটাল ব্যাংক করতে পরিশোধিত মূলধন আগের ১২৫ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ কোটি টাকা করা হয়েছে। যার মূলে গ্রাহকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি ডিজিটাল লেনদেনে আগ্রহী করা। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২৭ সালের মধ্যে মোট লেনদেনের ৭৫ শতাংশ ডিজিটাল লেনদেন হওয়ার কথা থাকলেও এখনও ৯০ শতাংশ মানুষ নগদ লেনদেনে বিশ্বাসী।

বিবিএসের হিসাবে ৫%, কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে ৫০ শতাংশের ওপরে
আর্থিক অন্তর্ভুক্তির হিসাব নিয়ে এত গরমিল?
আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিচ্ছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দেশে ৬১টি ব্যাংক থাকলেও মাত্র ৫ শতাংশ মানুষের ব্যাংক হিসাব আছে- পরিসংখ্যান ব্যুরোর এমন তথ্যে হতবাক অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ব্যাংকিং সেবায় নানা জটিলতায় এমনিতেই আগ্রহ কমছে। মানুষ ঝুঁকছেন মোবাইল ব্যাংকিংয়ে, তবে ১০ বছরোর্ধ অর্ধেক জনগোষ্ঠী এখনও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বাইরে। আর ব্যাংক তো দূরের কথা এমএফএসসহ অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেও লেনদেন করছেন না ৫২ শতাংশ মানুষ।

অনলাইন ব্যাংকিংয়ে বেসরকারি খাত এগিয়ে গেলেও পিছিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠান
৩৫৮ কোটি টাকা দেনা থেকে ২৭ লাখ কোটি টাকার লেনদেনে পৌঁছেছে দেশের ব্যাংকিং খাত। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে অনলাইন ব্যাংকিং সেবায় বেসরকারি খাতের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে গেলেও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো আগায়নি আশানুরূপভাবে। সারাদেশে ১০ হাজার এটিএম বুথের বিপরীতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের বুথ সংখ্যা ১ হাজারেরও কম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনলাইন সেবায় সরকারি প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতা না করলে গ্রাহক আস্থা হারাবে। সংকট হবে আর্থিক খাতে।