
ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপ নরেন্দ্র মোদির
এসসিও সম্মেলনে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আগে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী অফিস নিশ্চিত করেছে, ফোনকলটি আসে জেলেনস্কির পক্ষ থেকেই।

পুতিন-জেলেনস্কি বৈঠক ঘিরে উত্তপ্ত বিশ্ব রাজনীতি
ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকের পর এবার পুতিন-জেলেনস্কি বৈঠক নিয়ে উত্তপ্ত বিশ্ব রাজনীতি। ইউক্রেনে শান্তি ফেরাতে নানা তৎপরতা সত্ত্বেও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে দেশটির ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে। জেলেনস্কি বলছেন, ইউক্রেন ও তার মিত্ররা নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নিয়ে কাজ করছে। কিন্তু এ নিশ্চয়তা আসলে কতটা বাস্তবসম্মত? আদৌ তা কার্যকর হবে কি না- তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এমনকি যুদ্ধ বন্ধ হলেও রাশিয়া ফের আক্রমণ করলে এটি কার্যকরী হবে কি না- তা নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।

পুতিন সহযোগিতা না করলে তাকে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে: ট্রাম্প
ইউক্রেনে শান্তি ফেরানোর প্রশ্নে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সহযোগিতা না করলে তাকে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফক্স নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরও জানান, ইউক্রেনের নিরাপত্তার প্রশ্নে দেশটিতে মার্কিন সেনা মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা নেই ওয়াশিংটনের। এদিকে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, অঞ্চল ভাগাভাগির বিষয় নিষ্পত্তি না হলে পুতিন-জেলেনস্কি আলোচনা ব্যর্থ হতে পারে।

পুতিনের সঙ্গে যেকোনো বৈঠকে রাজি জেলেনস্কি
জেলেনস্কি-পুতিনের বৈঠক নিয়ে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প, যা দুই সপ্তাহের মধ্যে শুরু হতে পারে। এদিকে ১০ দিনের মধ্যেই ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশা করছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। ওভাল অফিসে ট্রাম্প-জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের বৈঠকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল ইউক্রেনের নিরাপত্তা এবং পুতিনের সঙ্গে জেলেনস্কির বৈঠক আয়োজন। যদিও ইউরোপীয় নেতাদের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে একমত নন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এছাড়া পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বা ত্রিপক্ষীয় যেকোনো ধরনের বৈঠক বসতে রাজি জেলেনস্কি। ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের এক ফাঁকে পুতিনের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন ট্রাম্প।

ইউক্রেনে সাময়িক যুদ্ধবিরতির পক্ষে নই: ডোনাল্ড ট্রাম্প
ইউক্রেনে সংঘাত বন্ধে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম ধাপে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এবার সেখানে যোগ দিয়েছেন ইউরোপের নেতারাও। এসময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেনে সাময়িক যুদ্ধবিরতির পক্ষে নই। সংঘাত বন্ধে এটি কোনো সমাধান নয়।

শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি নাকি রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যচুক্তি?
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ নয় বরং শুক্রবার (১৫ আগস্ট) শান্তি আলোচনার মাধ্যমে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ওয়াশিংটনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কের সূচনা করতে চান বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তারা জোর দিয়ে বলছেন, ট্রাম্পের উদ্দেশ্য ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত বন্ধ করা হলেও আপাতত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন নিয়েই মাথা ঘামাচ্ছেন পুতিন। বিশ্লেষকদের ধারণা, এ বৈঠকের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থেকে বের হওয়ার যোগ খুঁজছে মস্কো। তবে জার্মান গণমাধ্যম ডয়েচে ভেলের দাবি, পুতিনের উদ্দেশ্য সম্পর্ক স্পষ্ট ধারণা আছে ট্রাম্পের।

ট্রাম্প-পুতিন হাইভোল্টেজ বৈঠকে থাকবেন জেলেনস্কিও!
ট্রাম্প-পুতিনের হাইভোল্টেজ বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও, এতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো আপত্তি নেই। এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস। তবে ভূ-খণ্ড ভাগাভাগির বিপক্ষে ইউরোপীয় নেতারা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের দাবির মুখেই যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্বান্ত। যদিও মস্কো ও কিয়েভের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প-পুতিনের আসন্ন বৈঠকে বেশি চাপে থাকবেন ট্রাম্প।

জমি পুনর্দখলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জেলেনস্কি
রুশ বাহিনী পা রাখা মানেই ওই ভূমি রাশিয়ার, এমন নীতিতে অটুট দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। অন্যদিকে ভূমি পুনর্দখলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এ অবস্থায় যুদ্ধ থামাতে ট্রাম্প-পুতিনের আসন্ন বৈঠক আদৌ কাজে আসবে কি-না তা নিয়ে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধ বন্ধে রাজি না হলে ট্রাম্পের দেয়া বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার হুমকি রুখে দেয়ার কৌশল হিসেবেই হয়তো আপাতত ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন পুতিন।

যুক্তরাষ্ট্র-ন্যাটোর বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি রাশিয়ার; জেলেনস্কির অভিযোগ উড়িয়ে দিলো পাকিস্তান
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি মানতে বাধ্য নয় রাশিয়া। মার্কিন সাবমেরিন মোতায়েনের জবাবে এ সতর্কবার্তা দিয়েছে মস্কো। এছাড়া ন্যাটোর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেয়ার হুঁশিয়ারি জানিয়েছে ক্রেমলিন। এদিকে রাশিয়ার হয়ে পাকিস্তানের ভাড়াটে সেনাদের যুদ্ধ করার জেলেনস্কির অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে ইসলামাবাদ।

ট্রাম্পের হুমকির পরদিনই রাশিয়ার ভয়াবহ হামলা; যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অস্ত্র চুক্তির পথে ইউক্রেন
ট্রাম্পের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার হুমকির একদিন পরই ৩০০টিরও বেশি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনে ভয়াবহ আক্রমণ চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এতে এক শিশুসহ কমপক্ষে ছয়জন নিহত ও ৪০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে কিয়েভের ২৭টি স্থানে। এ অবস্থায় শক্তি বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অস্ত্র চুক্তির মূল নীতিগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে জানালেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। অন্যদিকে মস্কো বলছে, কীভাবে নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলা করতে হয় তা খুব ভালো করে জানা আছে তাদের।

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে আরও ২ গ্রাম দখল করেছে পুতিন সেনারা
ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি ড্রোন হামলায় গতকাল (শনিবার, ২৬ জুলাই) আরও পাঁচজনের প্রাণহানি হয়েছে। এর মধ্যে ইউক্রেনের নিপ্রো অঞ্চলে রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে প্রাণ গেছে তিনজনের। বিপরীতে রুশ ভূখণ্ডে ইউক্রেনের পাল্টা হামলায় নিহত হয়েছে দুইজন। এদিকে মস্কো দাবি করছে, শুক্রবারের (২৫ জুলাই) পর শনিবার ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে আরও দুটি গ্রাম দখল করেছে পুতিন সেনারা। তবে রাশিয়ার এই সাফল্যে বিচলিত নন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট, উৎসাহ যোগাচ্ছেন সেনাদের। আর ক্রেমলিন বলছে, শান্তি আলোচনা চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত জেলেনস্কি-পুতিন বৈঠক সম্ভব না।

রুশ সেনাদের দাঁতভাঙা জবাব দিচ্ছে কিয়েভ: জেলেনস্কি
ইউক্রেনীয় সেনাদের অন্তত ৫টি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি দখলের দাবি করছে রাশিয়া। বিপরীতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলছেন, দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় পোকরোভস্ক অঞ্চলে রুশ সেনাদের দাঁতভাঙা জবাব দিচ্ছে কিয়েভ সেনারা। এদিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেন ইস্যুতে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি অভিযোগ করেছেন, যুদ্ধ চালিয়ে যেতে মস্কোকে সহায়তা ও মদদ দিয়ে যাচ্ছে চীন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে চীনা প্রতিনিধির দাবি, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়াকে এখনও পর্যন্ত কোনো প্রাণঘাতি অস্ত্র দেয়নি বেইজিং।