
যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ দেয়ায় তিন ফিলিস্তিন মানবাধিকার সংস্থার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
গাজা সিটির চল্লিশ শতাংশ অঞ্চল দখলের দাবি করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এদিকে, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি না দিতে বিদেশি দেশগুলোকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি। এছাড়া, যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ দেয়ায় তিন ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গাজায় আগ্রাসন বন্ধে ইসরাইল প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ লিও চতুর্দশ।

গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে ইসরাইলে বিক্ষোভ
নাসের হাসপাতালে হামাসের গোপন ক্যামেরা ধ্বংসে হামলা চালানোর দাবি করেছে ইসরাইল। সাংবাদিকসহ ২১ জন নিহতের মধ্যে ৬ জন সন্ত্রাসী ছিলো বলে প্রাথমিক তদন্তে উল্লেখ করেছে আইডিএফ। তবে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর তদন্তকে মিথ্যা দাবি করে চ্যালেঞ্জ করেছে হামাস। এমন পরিস্থিতিতে আজ (বুধবার, ২৭ আগস্ট) গাজা ইস্যুতে বড় বৈঠকের সভাপতিত্ব করতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে সাড়ে ৩ লাখ মানুষ বিক্ষোভ করেছে ইসরাইলে।

যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে ব্যর্থ হওয়ায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ইসরাইলে বিক্ষোভ
দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির মধ্যেও গাজায় রাতভর বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। শনিবারের হামলায় প্রাণ গেছে শিশুসহ অন্তত ৬৩ জনের। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে উপত্যকার প্রায় ১০ লাখ মানুষকে ঘর ছাড়তে বাধ্য করেছে ইসরাইলি সেনারা। এদিকে, ত্রাণ আটকে রেখে গাজাবাসীকে মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দেয়ায় আবারও ইসরাইলের সমালোচনা করেছে জাতিসংঘ। এদিকে, গাজায় যুদ্ধ বন্ধে নির্ভরযোগ্য কোনো চুক্তি করতে ব্যর্থ হওয়ায় নেতানিয়াহু প্রশাসনের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমেছেন ইসরাইলের সাধারণ মানুষ।

গাজায় নতুন করে যুদ্ধের শঙ্কা, আহত শিশুদের নেয়া হচ্ছে আরব আমিরাতে
জিম্মিদের মুক্তি এবং গ্রহণযোগ্য শর্তে গাজা যুদ্ধ শেষ করতে আলোচনা শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন নেতানিয়াহু। তবে নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে এখনো নিশ্চুপ ইসরাইল। গাজা সিটি দখলে নতুন যুদ্ধের শঙ্কায় আছেন বাসিন্দারা। জাতিসংঘ বলছে, গাজা সিটির অনাহারে থাকা শিশুরা মৃত্যুর মুখে পড়বে। এদিকে, আহত ফিলিস্তিনি শিশুদের চিকিৎসার জন্য নেয়া হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে।

পানি নিতে গিয়ে প্রাণ গেল ৬ শিশুর: গাজায় রোববারেই নিহত ১০০, যুদ্ধবিরতির আশ্বাস ট্রাম্পের
ক্ষুধার্তদের উপর চালানো হত্যাযজ্ঞের মধ্যেই এবার পানির জন্য অপেক্ষায় থাকা গাজাবাসীর উপরও বোমা ফেলে ৬ শিশুসহ ১০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করলো ইসরাইলি বাহিনী। এ নিয়ে রোববার (১৩ জুলাই) পুরো গাজায় প্রাণহানির সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। অপুষ্টিতে ভুগে মারা গেছে এক শিশু। আর ২৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত জিএইচএফ ত্রাণবিতরণ কেন্দ্রগুলোতে হত্যার শিকার হয়েছেন ৮ শতাধিক ফিলিস্তিনি। অবরোধের কারণে ভয়াবহ সংকটের বিষয়ে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। এমন পরিস্থিতিতে আগামী সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে আশ্বস্ত করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

গাজায় যুদ্ধবিরতিতে অগ্রগতি; ১০ জিম্মি মুক্তিতে রাজি হামাস
ফিলিস্তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখণ্ড গাজায় যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের পথে আরেক ধাপ অগ্রগতি হয়েছে। যুদ্ধবিরতি কার্যকরের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ১০ ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে হামাস। তবে তারা সতর্ক করে বলেছে, ইসরাইলের অসহযোগিতার কারণে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা কঠিন হয়ে উঠেছে।