
ট্যানাররা পরিশোধ করছেন না বকেয়া, চামড়া ব্যবসায়ীরা পাচ্ছেন না কাঙ্ক্ষিত দাম
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বৃহত্তম চামড়ার মোকাম যশোরের রাজারহাট। এখানকার ঈদ-পরবর্তী প্রথম হাট জমেনি। এ হাটে ছাগলের চামড়া প্রতি পিস ৫ থেকে ২০ টাকা আর গরুর ২০০ থেকে ৯০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা দায়ী করছেন লবণ ও মজুরির দাম বৃদ্ধি হওয়া এবং ট্যানারি মালিকদের বকেয়া টাকা পুরোপুরি পরিশোধ না করাকে। এদিকে, চামড়া পাচার রুখতে সতর্ক অবস্থায় প্রশাসন।

সীমান্ত দিয়ে চামড়া পাচার রোধে কঠোর অবস্থানে বিজিবি
সীমান্তের নিরাপত্তা বিধান ও দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি সীমান্ত দিয়ে কোরবানির পশুর চামড়া পাচার রোধে সীমান্তে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিজিবি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীমান্তে বিজিবির নিরাপত্তা জোরদার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীমান্ত দিয়ে ভারতে কোরবানির পশুর চামড়া পাচার রোধে সতর্কাবস্থানে রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ইতোমধ্যে সীমান্তে টহল জোরদার করেছে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়ন। এছাড়া ভারতীয় নাগরিকদের অবৈধ পুশ ইন ঠেকাতেও কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছে বিজিবি। এজন্য সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

লবণের দাম ও শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি, দুশ্চিন্তায় চামড়া ব্যবসায়ীরা
ঈদুল আজহা এগিয়ে এলেও যশোরের রাজারহাটে নেই চামড়া সংগ্রহের তোড়জোড়। ট্যানারি মালিকরা দীর্ঘদিন বকেয়া পরিশোধ না করার অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। এ ছাড়া বেড়েছে লবণের দাম ও শ্রমিকের মজুরি। তাই এবার ঈদুল আজহায় চামড়া ব্যবসা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা। তবে বাজার স্থিতিশীল ও চামড়া পাচার বন্ধে সব ধরনের উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।