
আয় কমছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে
দেশের চামড়া খাতকে এগিয়ে নিতে ২০১৭ সালে হাজারীবাগ থেকে চামড়া শিল্পকে স্থানান্তরিত করা হয় সাভারের হেমায়েতপুরে। কিন্তু সেখানেও কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার বা সিইটিপি কার্যকর না করায় মুখ থুবড়ে পড়েছে আশা জাগানিয়া এই খাত। ফলে কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি থেকে ধারাবাহিকভাবে আয় কমছে। এই সুযোগে ধীরে ধীরে চামড়ার জায়গা দখল করে নিচ্ছে আর্টিফিসিয়াল লেদার বা কৃত্রিম চামড়া। এতে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন অনেক ব্যবসায়ী।

নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এলে সিইটিপির উন্নয়ন কাজে গতি ফিরবে: বিটিএ সভাপতি
চামড়া শিল্পনগরীর কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার এখনও কেন পুরোপুরি কার্যকর হয়নি এমন প্রসঙ্গে শিল্প উপদেষ্টা জানালেন, আগের সরকার নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন নেই। বর্তমান সরকার চামড়া শিল্প উন্নয়নে কাজ করছে। তবে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এলেই সিইটিপি'র উন্নয়ন কাজে গতি ফিরবে বলে আশা বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সভাপতির। এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে রাজধানীতে প্রায় সাড়ে সাত লাখ পিস কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও জানায় কর্তৃপক্ষ।

পরিবেশবাদী উপদেষ্টা পেয়েও চামড়া শিল্পে সিইটিপি কার্যকর না হওয়ায় হতাশ ব্যবসায়ীরা
লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের সনদ না থাকায় শুধু চীন ছাড়া বিশ্ববাজারে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারছেন না বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। এই এলডব্লিউজি সনদ পেতে সম্পূর্ণ কার্যকরী হতে হবে সিইটিপি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, উপদেষ্টা পরিষদে পাঁচজন পরিবেশবাদী থেকেও কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার বা সিইটিপি সম্পূর্ণ কার্যকর করার উদ্যোগ নেই। তবে শিল্প উপদেষ্টা বলছেন, কোরবানির ঈদের আগেই শুরু হবে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার বা সিইটিপি।

দিনভর ট্যানারি মালিক-মৌসুমি ব্যবসায়ীদের দর কষাকষি
এবারও সরকার নির্ধারিত মূল্যে চামড়া ক্রয় করেনি ট্যানারি ব্যবসায়ীরা, এমনতাই অভিযোগ মৌসুমি ব্যবসায়ীদের। আর না বুঝে এলাকা থেকে কাঁচা চামড়া বেশি দামে ক্রয় করাতে এমন সমস্যায় তাদেরকে পড়তে হচ্ছে বলে জানান ট্যানারি কর্তৃপক্ষ। সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে চলে মৌসুমি ব্যবসায়ী ও ট্যানারি প্রতিনিধিদের মাঝে বাকবিতণ্ডা। এর মাঝেই কাঁচা চামড়া ক্রয় বিক্রয় চলেছে সারাদিন।