গত দুই বছরের তুলনায় ১৫ লাখ পিস কম লক্ষ্য ধরে এবছর ৮৫ লাখ থেকে ৯০ লাখ পিস কাঁচা চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন। তবে এবছর কোরবানি কম হওয়াতে এবং চামড়া নষ্ট হওয়ায় বর্তমান লক্ষ্যমাত্রা থেকেও আরো ১৫ শতাংশ কম কাঁচা চামড়া সংগ্রহের শঙ্কা তাদের।
এমন পরিস্থিতিতে কোরবানি ঈদের তৃতীয় দিন সাভার বিসিক চামড়া শিল্প নগরী পরিদর্শনে আসেন শিল্প উপদেষ্টা। কারখানা ছাড়াও বহুল আলোচিত কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার সিইটিপি পরিদর্শন করেন তিনি। আলোচনায় বসেন সব পক্ষের সঙ্গে।
শিল্প সচিব ওবায়দুর রহমান জানান, সিইটিপি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এরই মধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। দুই তিন মাসের মধ্যে সিইটিপি নিয়ে কাজ শুরুর আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘সিইটিপির এই অবস্থা যারা করে দিয়ে গিয়েছিলো, এটা একটা ফল্টি ডিজাইন। আমরা এটা চালু রেখেছি। বর্তমানে যেহেতু আমাদের পুরোপুরি নতুন প্ল্যান করার সময় এসেছে আমাদের; সরকারও চাচ্ছে একটি নতুন প্ল্যান করতে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ফ্রি অব কস্টে কাজ করে দিচ্ছে কোথায় কোথায় ভুল আছে তা দেখার জন্য। তাদের রিপোর্ট পাওয়ার পরে আমরা একটি ব্যবস্থা নেব।’
গত সরকারের আমলেও সিইটিপি নিয়ে অগ্রগতি কেবল কাগজে-কলমে। প্রশ্ন ছিলো অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রগতি কতটুকু এমন প্রশ্নে শিল্প উপদেষ্টা বলেন, ‘আগের সরকার নিয়ে কোন কথা বলার দরকার নেই, বর্তমান সরকার কাজ করার চেষ্টা করছে।’
শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান বলেন, ‘লবণ পর্যাপ্ত ছিলো সংরক্ষণের জন্য। তবে বড় মাদ্রাসাগুলো এটা সামলাতে পারলেও ছোট মাদরাসাগুলো পারেনি। এজন্য কিছু জায়গায় সমস্যা হচ্ছে। আপনারা ২০১৭ সালের সরকারের সাথে কথা বলছেন না। গণঅভ্যুথানের সরকারের সাথে কথা বলছেন। সরকার যা করার দরকার তার জন্য চেষ্টা করছে।’
এদিকে, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন বলছে, নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব নিলে সিইটিপির উন্নয়নে কাজ দ্রুত হবে। বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, ‘ইন্টেরিম সরকার কী করতে পারে, তা আমরা বলতে পারছি না। তবে কোনো নির্বাচিত সরকার আসার পরে হয়তো কোন ইনিশিয়েটিভ নিতে পারে।’