গোমস্তাপুর উপজেলার বাসিন্দা রুবেল হক ইউটিউব দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে লিজ নেন দুই বিঘা জমি। রয়েল রেড জাতের ৫০০ চারা দিয়ে শুরু হলেও এখন তার পুরো দুই বিঘা জমি ভরে গেছে ড্রাগন গাছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করা ফল থেকে বছরে খরচ বাদে আয় করছেন প্রায় ৫ লাখ টাকা।
রুবেল বলেন, ‘ড্রাগনের ফলন অনেক ভালো হয়। উৎপাদন বেশি, তাই এটি লাভজনক ব্যবসা।’
রুবেলকে দেখে এলাকায় আরও অনেকেই ড্রাগন চাষে নাম লিখিয়েছেন। এতে বাগানভিত্তিক কর্মসংস্থানও বেড়েছে। স্থানীয় এক শ্রমিক জানান, আমরা দিনে ৪০০ টাকা মজুরি পাই। সকাল হলে বাগানে চলে আসি, কাজও কঠিন না।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের মাটি ও আবহাওয়া ড্রাগন চাষের জন্য উপযোগী জানিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. ইয়াছিন আলী বলেন, ‘উচ্চমূল্যের ফসল উৎপাদন করে কৃষকরা আরও লাভবান হতে পারে। আমের পাশাপাশি ড্রাগন ও সাম্মামফল উৎপাদনের মাধ্যমে কৃষি অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনা সম্ভব।’
চাহিদা বৃদ্ধির কারণে চলতি মৌসুমে জেলায় ৯ হেক্টর জমিতে ড্রাগন চাষ হয়েছে, যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১৫০ টন; গত বছরের চেয়ে ৩০ টন বেশি। বাজারমূল্যে এর পরিমাণ প্রায় ৪ কোটি টাকা।