চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌর এলাকার খানপাড়া মহল্লার বাসিন্দা ইসমাইল খান শামীম। দুই বছরের চেষ্টার পর ড্রাই ম্যাংগো তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।
থাইল্যান্ড থেকে শিখে বিদেশি সংস্থা সুইসকন্ট্যাক্টের সহযোগিতায় গড়ে তুলেন ড্রাই ম্যাংগো প্রসেসিং যন্ত্রাংশ। এখন আশ্বিনা আম দিয়ে দিনে একমণের বেশি ড্রাই ম্যাংগো তৈরি করেন তিনি। গুণেমানে যা থাইল্যান্ডের ড্রাই ম্যাংগোর মতোই।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ, শিবগঞ্জ স্বত্বাধিকারী নওয়াবী ম্যাংগো ইসমাইল খান শামীম বলেন, ‘শুধু আশ্বিনা আম নয়, দেশে যে আমগুলো উৎপাদন হয়, প্রতিটি জাতের আম দিয়েই ড্রাই ম্যাংগো তৈরি করা সম্ভব।’
প্রথমে আমগুলোকে কেটে টুকরো টুকরো করা হয়। এরপর ড্রায়িং মেশিনে তাপ ও বায়ুপ্রবাহ নিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়ায় শুকিয়ে নেয়া হয়। এ উদ্যোগে সারাবছর ভোক্তারা পাবেন আমের স্বাদ।
নওয়াবী ম্যাংগোর শ্রমিক ও ভোক্তারা জানান, কয়েকবার পরীক্ষামূলকভাবে তৈরি করার পর তারা সফল হয়েছি। বর্তমানে বাজারজাত করার উপযুক্ত হয়েছে বলে মনে করছেন তারা। আমগুলো নিজের হাতে প্রক্রিয়াজাত করে থাকেন বলে শ্রমিকেরা জানান।
আরও পড়ুন:
আম চাষিরা বলছেন, সিজনের ৬০ শতাংশই আম গাছ থেকে পেকে পড়ে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে স্থানীয়ভাবে চাষ হওয়া এসব আমের প্রক্রিয়াজাতকরণে লাভবান হবেন তারা।
এ সুস্বাদু পণ্যের ব্যাপক বিস্তার ঘটাতে চান মেশিনারিজ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সুইসকন্ট্যাক্টের কর্মকর্তারা।
সুইসকন্ট্যাক্ট এলএডি কর্মকর্তা শিবগঞ্জ চাঁপাইনবাবগঞ্জ মো. আলামিন আলি বলেন, ‘এ প্রক্রিয়ার জন্য বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সরবরাহ করা হয়েছে। আমরা সফলভাবে পণ্যটি উৎপাদন করতে পেরেছি।’
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমের প্রক্রিয়াজাত পণ্যের বিস্তার ঘটানো গেলে বাড়বে কম দামি আমের মূল্য।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সাধারণ সম্পাদক কৃষি অ্যাসোসিয়েশন মুনজের আলম মানিক বলেন, আমাদের দেশে আম প্রক্রিয়াকরণ বেশি হওয়া উচিত। যারা কৃষি নিয়ে কাজ করে তারা ঠিকভাবে কাজ করছে না, এখানে উন্নয়ন করতে হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ উপপরিচালক জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ড. মো. ইয়াছিন আলী বলেন, ‘এ প্রক্রিয়াজাত করার ফলে আমের ব্যবহারের সময় যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনই অধিক ফলন হলে তারা দাম ভালো পাবে। পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানি করলে আমের বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি পারে।’