চলতি বছর মেহেরপুরের তিন উপজেলায় তোষা, কেনাফ, মেস্তাসহ কয়েকটি জাতের পাটের আবাদ হয়েছে। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন এলাকায় সেসব পাট কাটা, জাগ দেওয়া ও পাটকাঠি থেকে আঁশ ছাড়ানোয় ব্যস্ত কৃষক।
এবার জেলায় প্রতিবিঘায় পাট হয়েছে ১০ থেকে ১২ মণ। বিঘাপ্রতি উৎপাদন খরচ ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা হলেও বর্তমানে ৩ হাজার ৬০০ থেকে ৪ হাজার মণ দরে পাট বিক্রি হচ্ছে। চাষি ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, উৎপাদন ভালো হওয়ার পাশাপাশি বাজারে দাম নিয়েও সন্তুষ্ট তারা।
স্থানীয় চাষি ও ব্যবসায়ীরা জানান, এবছর বৃষ্টি হওয়াতে পাট জাগ দেয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পেয়েছেন। ভালোভাবে সংরক্ষণ করতে পারলে তারা ভালো লাভ করতে পারবে বলে জানান চাষিরা।
আরও পড়ুন:
মেহেরপুর জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা হারুন উর রশীদ বলেন, পাটের মান ভালো করার জন্য ভালোভাবে বাছাই করে পানিতে জাগ দিতে হবে।
চলিত মৌসুমে ১৬ হাজার ৬৩০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে পাটের আবাদ হয়েছে ১৭ হাজার ৬৫৫ হেক্টর বেশি জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ২৫ হেক্টর বেশি। প্রতি হেক্টরে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ দশমিক ৮ টন। সে হিসেবে পাট কেনাবেচায় লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় পাঁচশ কোটি টাকা।
মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালক মো. সামসুল আলম বলেন, ‘এ বছর পাট কর্তনের মৌসুমে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। ফলে পাট পচানোতে এবছর কোনো সমস্যা হয়নি।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব মতে, পাটের পাশাপাশি জেলার প্রতি হেক্টর জমি থেকে পাটকাঠি উৎপাদন হবে ৪৫ হাজার টাকা। সে হিসেবে পাটকাঠিও উৎপাদন হবে প্রায় ৮০ কোটি টাকার।