ফেনীতে বাড়ছে পেয়ারার বাণিজ্যিক আবাদ

ফেনীতে পেয়ারার বাণিজ্যিক আবাদ
এখন জনপদে
কৃষি
0

চাষ পদ্ধতির উন্নয়ন আর ফলনে লাভ হওয়ায় ফেনীতে দিন দিন বাড়ছে পেয়ারার বাণিজ্যিক আবাদ। সুস্বাদু ও পুষ্টিকর এ ফল এখন অনাবাদী ও এক ফসলী জমিতে কৃষকের মুখে হাসি ফেরাচ্ছে। কৃষি বিভাগ বলছে, এ অঞ্চলের মাটি পেয়ারা চাষাবাদে উপযোগী।

ফেনী শহরতলীর কালিদাস পাহালিয়া নদীর তীরে গড়ে উঠেছে পাহালিয়া এগ্রোর পেয়ারা বাগান। সাত একর জমিতে লাগানো হয়েছে প্রায় চার হাজার উন্নত জাতের পেয়ারা গাছ। ফলও আসছে আশানুরূপ।

বাগান কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতি গাছ থেকে বছরে ৭০ থেকে ৮০ কেজি পেয়ারা উৎপাদন হয়, বছরে বাগান থেকে প্রায় ২৯৪ টন পেয়ারা পাওয়া যায়। বর্তমানে এর বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। খরচ বাদ দিয়েও বছরে ১ কোটির বেশি টাকা থাকছে কৃষকের লাভের খাতায়।

ফেনী কালিদহ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু তৈয়ব বলেন, ‘দুটি জাতের পেয়ারা চাষ করা হয়। প্রচুর ফলনের পাশাপাশি বারো মাসই পেয়ারার উৎপাদন হয়। সারা বছরই বাগানে ফল থাকে।’

ধর্মপুরের জান্নাত এগ্রো ফার্মেও সম্ভাবনার এমন চিত্র। তিন একর জমিতে ৭৫০টির বেশি গাছে ফল আসছে। বছরের গড় আয় প্রায় ১২ লাখ টাকা। এ ফল কিনতে অনেকেই সরাসরি চলে আসছেন বাগানে।

আরও পড়ুন:

চাষিরা জানান, তারা পেয়ারা চাষ করে ভালো লাভ করতে পারছেন। কীটনাশকমুক্ত এ পেয়ারার চাহিদা অনেক বলে জানান চাষিরা।

স্থানীয় কৃষি বিভাগ বলছে, জেলার মাটি পেয়ারার জন্য অত্যন্ত উপযোগী। আগে মিশ্র ফল বাগানে দুই একটি পেয়ারা গাছ দেখা গেলেও, এখন বাণিজ্যিকভাবে আলাদা বাগান করা হচ্ছে।

ফেনী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অতিরিক্ত পরিচালক মো. জগলুল হায়দার বলেন, ‘বাজারে দেখা যাচ্ছে এ বছর আগাম পেয়ারার ফলন মার্কেটে চলে আসছে। আমাদের থাই পেয়ারার জাত অনেক ভালো, ক্রেতারা খুব আগ্রহ নিয়ে এ পেয়ারাটি কিনে থাকে। ফেনি জেলায় ভালো সম্ভাবনা রয়েছে পেয়ারার চাষে।’

জেলায় বর্তমানে বছরে উৎপাদন হয় প্রায় ১৮০০ টন পেয়ারা। যার বাজার মূল্য অন্তত প্রায় ৭ কোটি টাকা।

ফেনী শহরতলীর ধর্মপুরের এ বাগান এক সময় ছিলো ফসলী জমি। এখন সেখানে বারোমাস উৎপাদন হচ্ছে পেয়ারা। তিন একর জমিতে চাষাবাদ করে বছরে আয় হচ্ছে ১২ লাখ টাকার বেশি। কৃষি বিভাগ বলছে এক ফসলী ও অনাবাদী জমিগুলোতে পেয়ারার চাষাবাদে সুদিন ফিরবে কৃষকের।

এফএস