বাংলাদেশের জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই আহরণের লক্ষ্যে ‘মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকরণ কার্যক্রম’ বাস্তবায়নে দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ।
দেশের সমুদ্রসীমার অভ্যন্তরে ইলিশসহ অন্যান্য প্রজাতির মাছের প্রজনন বৃদ্ধির নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে দেশি-বিদেশি অবৈধ মাছ শিকারিদের অনুপ্রবেশ বন্ধে সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় নৌবাহিনী এ সময় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৪টি যুদ্ধ জাহাজ এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বোট বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা ও উপকূলীয় অঞ্চলে সার্বক্ষণিক টহলে নিয়োজিত ছিল।
এছাড়াও নৌবাহিনীর অত্যাধুনিক মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফটের মাধ্যমে প্রতিদিন সুবিশাল বঙ্গোপসাগরে বেআইনি মৎস্য শিকার প্রতিহত করতে তীক্ষ্ণ নজরদারি করে নৌবাহিনী।
‘মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকরণ কার্যক্রম-২০২৫’ চলাকালে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ২৭৫টি অপারেশন পরিচালনা করে। এর মাধ্যমে সর্বমোট ৩৬ লাখ ২৮ হাজার ১১০ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল, ২ হাজার ৭৪৪টি বিভিন্ন ধরনের অবৈধ জাল, ৫০৫ জন জেলেসহ ৫৭টি বোট এবং ১৬ হাজার ৩২৮ কেজি মাছ জব্দ করতে সক্ষম হয়।
জব্দকৃত সরঞ্জামাদি ও মাছের আনুমানিক বাজার মূল্য ৯৯ কোটি ২১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। আটককৃত এসব অবৈধ জালসমূহ স্থানীয় প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয় এবং জব্দকৃত মাছ স্থানীয় এতিম খানায় বিতরণ করা হয়। এছাড়াও মাছ ধরার নৌকা ও জেলেদের স্থানীয় প্রশাসনের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, অভিযান পরিচালনাকালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরা প্রজনন মৌসুমে ইলিশসহ সকল মাছ আহরণ নিষিদ্ধ সংক্রান্ত সরকারি নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন ও গণসচেতনতা সৃষ্টিতে স্থানীয় প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করে।
নৌবাহিনীর এ অভিযানের ফলে দেশের সমুদ্রসীমায় ও অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে মৎস্য সম্পদের প্রাচুর্য বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়।—প্রেস বিজ্ঞপ্তি