অনলাইনে মিলছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম, চাষি ও ভোক্তা পর্যায়ে স্বস্তি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম
এখন জনপদে , গ্রামীণ কৃষি
কৃষি
0

চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমের সুনাম সারাদেশে। জেলায় প্রতিবছর উৎপাদন হয় কয়েক লাখ টন আম। আগে এসব আম কেবল হাটবাজারে বিক্রি হলেও বর্তমানে বেড়েছে অনলাইনে বিক্রির পরিমাণ। গেলো দুই মাসে জেলায় অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি হয়েছে প্রায় দুইশ কোটি টাকার আম। এতে চাষিরা যেমন ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন, তেমনি ভোক্তারাও ঘরে বসেই পাচ্ছেন সতেজ আম। জেলার তরুণ উদ্যোক্তাদের অনলাইনে আম বিক্রির বিষয়ে নানা প্রশিক্ষণও দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের হাবিবুর রহমান। ২০০৫ সাল থেকে আম চাষের সঙ্গে জড়িত তিনি। আগে হাট বাজারে আম বিক্রি হলেও, সময়ের পরিবর্তনে বর্তমান অনলাইনে আম বিক্রি করছেন তিনি। মূলত ২০১৩ সালে ‘চাঁপাই শপ’ নামে ফেসবুক পেজ খুলে আম বিক্রি শুরু করেন তিনি। বর্তমানে দিনে অন্তত এক লাখ টাকার আম বিক্রি করছেন হাবিবুর রহমান।

হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা ফেসবুকের মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা চালাই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে প্রচারণা করে থাকি। এ পর্যন্ত আমি পাঁচশো মেট্রিক টন আম সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে পেরেছি।’

শুধু হাবিবুর নয়, জেলার প্রায় দুইশো তরুণ উদ্যোক্তা এ মুহূর্তে অনলাইনে আম ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কর্মসংস্থান হচ্ছে শত শত মানুষের। এমনকি বাড়িতে বসে অনলাইনে আম বিক্রি করছেন নারীরাও।

আরও পড়ুন:

অনলাইন উদ্যোক্তারা জানান, এখন ক্রেতারা ক্যাশ অন ডেলিভারি নিতে পারবে। তারা দেখে বাছাই করে আম কিনতে পারবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফেসবুক পেজ, ওয়েবসাইট ও ই-কমার্সের মাধ্যমে গেলো দু’মাসে বিক্রি হয়েছে প্রায় দুইশো কোটি টাকার আম। তাই এ খাতকে এগিয়ে নিতে নানা প্রশিক্ষণসহ আর্থিক সহায়তার আশ্বাস কৃষি বিভাগের।

সাধারণ সম্পাদক শিবগঞ্জ ম্যাংগো প্রোডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটি ইসমাইল হোসেন শামীম বলেন, ‘বিগত কয়েক বছর ধরে ই-কমার্সের মাধ্যমে আম বাজারজাতকরণ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুই হাজার তরুণ এ কাজে আছে।’

উপ-পরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জ ড. ইয়াছিন আলী বলেন, ‘বাংলাদেশে অনেক তরুণ উদ্যোক্তা হয়েছে। অনলাইনে বিক্রির মাধ্যমে তারা অনেক লাভবান হচ্ছে।’ চলতি বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩ লাখ ৮৬ হাজার টন আম উৎপাদন হয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা।

এফএস