গাছের ফাঁক দিয়ে উঁকি দেয়া ভোরের সূর্য দিচ্ছে নতুনের বার্তা। দেশাত্মবোধক ও রবীন্দ্র-নজরুল সঙ্গীতের মাধ্যমে শুরু হয় নতুন বর্ষবরণের আয়োজন। পাখি, বাঘসহ বিভিন্ন মোটিফে ফুটে ওঠে নববর্ষের ঐকতান ফ্যাসিবাদের অবসানের বার্তা।
বরিশাল বিএম স্কুল মাঠে উদীচী শিল্পগোষ্ঠীর উদ্যোগে সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয় নতুন বছরকে। পরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বের করা হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। সেখানে হাতি, ঘোড়া, পালকির মোটিফসহ ফুটে ওঠে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য।
শোভাযাত্রায় অংশ নেয়া একজন ব্যক্তি বলেন, 'আনন্দ শোভাযাত্রা সফল হোক এটাই কামনা করছি।'
শোভাযাত্রায় অংশ নেয়া একজন কিশোরী বলেন, 'ছোটবেলা থেকে নববর্ষের দিনটি একটি বিশেষ দিন।'
এদিকে গরুর ও ঘোড়ার গাড়ি নিয়ে ব্যতিক্রমধর্মী র্যালির আয়োজন করে রংপুর জেলা প্রশাসন। বর্ণিল সাজে শোভাযাত্রায় অংশ নেন বিভিন্ন সংগঠনের সদস্য, শিক্ষার্থী, আদিবাসিসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। অতীতের ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন তারা।
নতুন ভোরের আলোয় এলো পহেলা বৈশাখ- স্লোগানে ময়মনসিংহের শিল্পকলায় আয়োজন করা হয় বর্ষবরণ উৎসব। পরে আবহমান গ্রামবাংলার টেপা পুতুল, পেঁচা, বায়স্কোপ, একতারাসহ প্ল্যাকার্ড ফেস্টুন হাতে আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নেন নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।
শোভাযাত্রায় অংশ নেয়া একজন নারী বলেন, 'নতুন বছর হচ্ছে নতুনভাবে সবকিছু শুরু করা। আমাদের মধ্যে সবকিছুর শুভবুদ্ধির উদয় ঘটুক। আমরা যেন প্রতিদিনই এভাবে সবাই একসাথে সবাই সম্মিলিতভাবে সুন্দর নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারি।'
সারাদেশের মতো রাজশাহীতে নানা আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে বর্ষবরণ উৎসব। পদ্মাপাড়ের রবীন্দ্র-নজরুল মঞ্চে সকল মঙ্গল কামনায় শুরু হয় প্রথম প্রহর। পরে শোভাযাত্রায় গরুর গাড়ি, চরকিসহ বাঙালির সমৃদ্ধির স্মারক তুলে ধরেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী বলেন, 'নতুন একটি আলো নিয়ে আমরা চাই প্রত্যেকের জীবন আলোকিত হোক। আর যদি মানুষের জীবন আলোকিত হয় সে তার আলোতেই আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।'
এদিকে প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু করেন সিলেটবাসী। এছাড়া নানা আয়োজন ও বর্ণিল সাজের মধ্য দিয়ে খুলনা, কুমিল্লা, বগুড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় নতুন বছরকে বরণ করে নেয়া হয়।