১৯৩৬ সালের এদিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৌড়াইলে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। আর সাহিত্যের ষোলকলা পূর্ণ করে ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় অমরতার পথে হারিয়ে যান তিনি। কবি আল মাহমুদের ৯০তম জন্মদিন উপলক্ষে পৃথক আয়োজনে দিনটি পালন করবেন ভক্ত-অনুরাগীরা। এদিন বিকেল ৪টায় রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে কবিকে ঘিরে আলোচনা, স্মরণ ও আবৃত্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
কালের কলস ও কালের ধ্বনি আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিল্প-সাহিত্যের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন। একই দিন সকালে ময়মনসিংহ সাহিত্য সংসদ, ময়মনসিংহে আয়োজন করেছে ‘আমাদের আল মাহমুদ’ শীর্ষক সেমিনার। এছাড়া বাংলা একাডেমি সূত্র জানিয়েছে, কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জুলাইতে বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করা হবে। তবে দিন-তারিখ এখনও নির্ধারিত হয়নি। আর ১২ জুলাই, শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ ভবনে বিকেল ৪টায় কবিতা, স্মৃতিচারণ ও আড্ডার আয়োজন করা হয়েছে।
এদিকে, রাষ্ট্রীয়ভাবে কবির জন্মবার্ষিকী পালন না করায় ক্ষোভ জানিয়েছে কবিভক্তরা। তারা জানিয়েছেন, বিগত স্বৈরাচারী সময়ে আল মাহমুদকে তুমুল অবজ্ঞা ও উপেক্ষা করা হয়েছে। জুলাই বিপ্লবে আল মাহমুদের অনেক কবিতা ছাত্র-জনতাকে দারুণভাবে উদ্বুদ্ধ করেছে। তিনি বাংলা ভাষার ফসলি জমিনকে জাদুকরী দক্ষতায় উর্বর করে গেছেন।
জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের পাশাপাশি উচিত ছিল রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে স্মরণ করা। অবিলম্বে কবির লেখনি পাঠ্যপুস্তকে পুনর্বহালসহ কবির সাহিত্য গবেষণায় কবি আল মাহমুদ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠারও দাবি জানানো হয়।—বাসস