অভিযোগের বিষয়ে এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটির বক্তব্য

এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটির লোগো
কর্পোরেট
0

সম্প্রতি ওঠা বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে এর ব্যাখ্যা দিয়েছে বিজ্ঞাপনী সংস্থা এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটি। গতকাল (মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল) প্রতিষ্ঠানটির গ্রুপ চেয়ারপারসন সারা যাকেকের পক্ষ থেকে পাঠানো বিবৃতিতে বলা জয়, একটি ‘স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ হয়ে এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটি এবং এর অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান ও পরিচালনা পর্ষদ সদস্যদের সম্পৃক্ত করে ‘এসব তথ্য ছড়াচ্ছে’।

বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি একটি স্বার্থান্বেষী মহল গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুল ও বানোয়াট তথ্যের ভিত্তিতে অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে: সোনার পদকে ভেজাল, সিআরআই কানেকশন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি ও মুজিব বর্ষ উদ্‌যাপন অনুষ্ঠান আয়োজনে দুর্নীতি, জয় বাংলা কনসার্টের আয়োজন ও বিজ্ঞাপনের বাজার দখল। উল্লেখ্য, এর একটি অভিযোগও এশিয়াটিকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

অভিযোগ নিয়ে এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটি বলছে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়ক, রাজনীতিবিদ, দার্শনিক, শিল্প-সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, বিশিষ্ট নাগরিক ও সংগঠনকে সম্মাননা দিতে যে সোনার ক্রেস্ট দেয়া হয়েছিল, তা সরবরাহ করেছিল অন্য একটি প্রতিষ্ঠান—অথচ অপপ্রচার চালানো হচ্ছে এশিয়াটিকের নামে। এ আয়োজনে এশিয়াটিক শুধু ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, সিআরআইয়ের সঙ্গে ইরেশ যাকের কিংবা এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটির কোনো অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের কোনো সম্পর্ক কোনোদিনই ছিল না, বর্তমানেও নেই।

ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অধীনে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের (সিআইসি) নির্দেশে এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটির অধীনে থাকা ১৭টি প্রতিষ্ঠান এবং এর পরিচালনা পর্ষদের ৬ জন পরিচালক ও ২ জন কর্মকর্তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়।

বিবৃতিতে এশিয়াটিকের দাবি, এ বিষয়ে কোনোপ্রকার পূর্ব নোটিশ অথবা সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি এশিয়াটিককে দেয়া হয়নি। যেহেতু এক্ষেত্রে অভিযোগের ব্যাপারে সংবাদে অথবা ব্যাংক থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ উল্লেখ ছিল না, তাই এশিয়াটিকের ট্যাক্স ও লিগ্যাল টিম সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি সবিস্তারে জানার চেষ্টা করে।

বর্তমানে এশিয়াটিকে ৭ শতাধিক স্থায়ী কর্মী এবং দেশজুড়ে প্রায় ৪ হাজার চুক্তিভিত্তিক কর্মী রয়েছে। বিজ্ঞাপন নিয়ে এশিয়াটিকের কার্যক্রমের সঙ্গে দেশের টেলিভিশন, রেডিও, সংবাদপত্র, অনলাইন ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম সম্পৃক্ত। এশিয়াটিকের কার্যক্রমে সঙ্গ আরো সম্পৃক্ত রয়েছেন শিল্পী, সংগীতজ্ঞ ও কলা-কুশলীসহ বিভিন্ন পেশাখাতের মানুষ।

এছাড়া সাউন্ড, লাইট, সেট নির্মাণ, প্রিন্ট মিডিয়া, ফটোগ্রাফিসহ অন্যান্য সেবাখাত ও প্রযুক্তিগত পরিষেবা দেয়া ৫ শতাধিক সরবরাহকারী ও ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান এ কার্যক্রমের সাথে যুক্ত। আকস্মিকভাবে এশিয়াটিকের প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংক হিসাব জব্দ হওয়ায় এ বিশাল কর্মযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত এশিয়াটিকের কর্মী ও তাদের পরিবার এবং প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য অংশীজনদের চরম ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

গত পাঁচ বছরে এশিয়াটিক ভ্যাট, কর ও অন্যান্য ফি হিসেবে জাতীয় কোষাগারে ৭৫০ কোটি টাকার বেশি জমা দিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে এশিয়াটিকের বিবৃতিতে।

আসু