রাঙামাটির মিনি চিড়িয়াখানার ১৭ প্রাণী ডুলহাজারা সাফারি পার্কে হস্তান্তর

এখন জনপদে
0

দীর্ঘ দুই যুগ ধরে অবহেলা অযত্নে থাকার পর রাঙামাটি জেলা পরিষদের মিনি চিড়িয়াখানা থেকে ১৭টি প্রাণী কক্সবাজারের ডুলহাজারা সাফারি পার্কে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসব প্রাণীর মধ্যে একটি ভাল্লুক, চারটি বানর, একটি মায়াহরিণ, দু'টি সজারু, পাঁচটি বনমোরগ ও চারটি কচ্ছপ রয়েছে। এরমধ্য দিয়ে শুরুর ২৪ বছর পরে বন্ধ করা হলো চিড়িয়াখানাটি।

আজ (সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের তত্ত্বাবধানে এসব প্রাণী হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। এই হস্তান্তর প্রক্রিয়া তদারকি করেন বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা দীপান্বিতা ভট্টাচার্য।

রাঙামাটি জেলা পরিষদের অধীনে ২০০২ সালে শহরের সুখী নীলগঞ্জ এলাকায় 'বোটানিক্যাল গার্ডেন ও মিনি চিড়িয়াখানা' নামে প্রতিষ্ঠিত হয় এটি। তবে চিড়িয়াখানাটির বন্যপ্রাণী বিভাগের কোনো অনুমোদন ছিল না। এটি রাঙামাটির বাসিন্দাদের জন্য একটি বিনোদনের স্থান হয়ে উঠেছিল। কিন্তু প্রশিক্ষিত জনবল না থাকা এবং যথাযথ পরিচর্যার অভাবে এটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলায় পড়ে ছিল।

সম্প্রতি জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ চিড়িয়াখানার প্রাণীগুলোর স্বাস্থ্যঝুঁকি ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপরই আজ হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

চট্টগ্রাম বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা দীপান্বিতা ভট্টাচার্য বলেন, 'আমরা রাঙামাটি জেলা পরিষদের আওতাধীন বোটানিক্যাল গার্ডেন ও মিনি চিড়িয়াখানা থেকে একটি করে ভাল্লুক ও মায়া হরিণ, দু'টি সজারু, চারটি করে বানর ও কচ্ছপ এবং পাঁচটি বনমোরগসহ মোট ১৭টি প্রাণী গ্রহণ করেছি।'

এসব প্রাণী প্রথমে কক্সবাজারের ডলাহাজারা সাফারি পার্কে নেয়া হবে। সেখানে যথাযথ কোয়ারেন্টাইন শেষে পার্কের ব্যাষ্টনিতে রাখা হবে বলেও জানান তিনি।

এসএস