আজ (সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের তত্ত্বাবধানে এসব প্রাণী হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। এই হস্তান্তর প্রক্রিয়া তদারকি করেন বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা দীপান্বিতা ভট্টাচার্য।
রাঙামাটি জেলা পরিষদের অধীনে ২০০২ সালে শহরের সুখী নীলগঞ্জ এলাকায় 'বোটানিক্যাল গার্ডেন ও মিনি চিড়িয়াখানা' নামে প্রতিষ্ঠিত হয় এটি। তবে চিড়িয়াখানাটির বন্যপ্রাণী বিভাগের কোনো অনুমোদন ছিল না। এটি রাঙামাটির বাসিন্দাদের জন্য একটি বিনোদনের স্থান হয়ে উঠেছিল। কিন্তু প্রশিক্ষিত জনবল না থাকা এবং যথাযথ পরিচর্যার অভাবে এটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলায় পড়ে ছিল।
সম্প্রতি জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ চিড়িয়াখানার প্রাণীগুলোর স্বাস্থ্যঝুঁকি ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপরই আজ হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
চট্টগ্রাম বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা দীপান্বিতা ভট্টাচার্য বলেন, 'আমরা রাঙামাটি জেলা পরিষদের আওতাধীন বোটানিক্যাল গার্ডেন ও মিনি চিড়িয়াখানা থেকে একটি করে ভাল্লুক ও মায়া হরিণ, দু'টি সজারু, চারটি করে বানর ও কচ্ছপ এবং পাঁচটি বনমোরগসহ মোট ১৭টি প্রাণী গ্রহণ করেছি।'
এসব প্রাণী প্রথমে কক্সবাজারের ডলাহাজারা সাফারি পার্কে নেয়া হবে। সেখানে যথাযথ কোয়ারেন্টাইন শেষে পার্কের ব্যাষ্টনিতে রাখা হবে বলেও জানান তিনি।