পদ্মা থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনে তীরবর্তী এলাকা ও বাঁধ হুমকির মুখে

এখন জনপদে
0

ফরিদপুরের পদ্মা নদীতে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে তোলা হচ্ছে বালু। হুমকির মুখে পড়েছে নদী তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা ও বাঁধ। তবে বালু উত্তোলন বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

ফরিদপুরের ডিক্রিরচর ইউনিয়নের দেড় কিলোমিটার জুড়ে রাতের আঁধারে শুরু হয় বালু তোলার মহোৎসব। নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবৈধভাবে বালু তুলছে একাধিক চক্র। তবে সম্পূর্ণ চিত্র পালটে যায় দিনের আলোয়, বালু তোলার ড্রেজার ও ট্রাক আড়ালে সরিয়ে রাখা হয়।

স্থানীয়রা জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে রয়েছে বাঁধ ও নদী তীরবর্তী বসতবাড়ি। ইতোমধ্যে বিস্তীর্ণ এলাকা বিলীন হয়েছে ভাঙনে।

অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাঁধের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। যদি দ্রুত বালু তোলার কার্যক্রম বন্ধ না হয় তাহলে বর্ষা মৌসুমে বাঁধ ধসে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা।

ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মো: রাকিব হোসেন বলেন, ‘যে ক্ষতিটা হয়ে গেছে তা অপূরণীয় যা আমরা কোনোভাবে পুষিয়ে উঠতে পারবো না, আমাদের অনেক জায়গায় ব্লক সরে গেছে। আমরা আশঙ্কা করছি বর্ষাকালে এগুলো ধ্বসে যেতে পারে। আমাদের যেসব প্রটেক্টিভ ও রেমেডি মেজার লাগে তা আমরা নেব।’

পদ্মা নদী থেকে যারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস প্রশাসনের।

ফরিদপুর পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল বলেন, ‘ আমরা দেখলাম শহর রক্ষার যে বাঁধ সে বাঁধের পাশে থেকেই অবৈধভাবে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমরা দেখছি কারা কাটছে, তাদের চিহ্নিত করে আমরা এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব। ’

ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা বলেন, ‘জাতীয় ও স্থানীয় স্বার্থ ক্ষুণ্ন হচ্ছে বিশেষ করে শহর রক্ষা বাঁধ যেটি আছে সেখানের ব্লক ফেলেছে আর সেখান থেকে তারা মাটি কেটেছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে এখানে আর মাটি কাটা ও বালু তোলা চলবে না।’

প্রতিরাতে নদী থেকে অবৈধভাবে অন্তত ৫০০ ট্রাক বালু তোলা হয়। শিগগিরই এসব অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান স্থানীয়রা।

এএম