এর আগে মঙ্গলবার সকালে ক্যাম্পাসের রাজনীতি ফেরানো, শিক্ষার্থীদের মারধর, মাইক কেড়ে নেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে রাজনীতি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেন কিছু শিক্ষার্থী। এ সময় অপর একটি পক্ষ ক্যাম্পাসে রাজনীতি করার পক্ষে অবস্থান নেন।
পরে ভিসির বাসভবনের সামনে অবরোধ করে বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। দুপুরে অপর একটি পক্ষ ক্যাম্পাসে একত্রিত হয়ে ক্যাম্পাসে আসলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
শিক্ষার্থীরা জানান, কুয়েট ক্যাম্পাসে রাজনীতি প্রবেশ করানো এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর উসকানি দিয়ে হামলা, মাইক কেড়ে নেয়ার কারণে অন্তত ১৮ জনকে আজীবন বহিষ্কার ও ছাত্রত্ব বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন তারা।
তাদের দাবি, কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি পুরোপুরি নিষিদ্ধ এবং শাস্তির বিধান উল্লেখপূর্বক প্রজ্ঞাপন আকারে অর্ডিন্যান্সে যুক্ত করতে হবে।
সেসকল শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী কুয়েটে রাজনীতি প্রবেশের জন্য সহায়তা করেছে তাদেরও শাস্তির আওতায় আনতে হবে। নিরাপত্তাজনিত কারণে কুয়েট ক্যাম্পাসকে সিসি টিভির আওতায় আনতে হবে বলেও দাবি করেছেন তারা।
প্রায় আড়াই ঘণ্টা সংঘর্ষ চলার পর সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং পুলিশের যৌথ অভিযানে সংঘর্ষ থেমে যায়। তবে বিক্ষুব্ধ এক দল শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে অবস্থান করে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছে।