পরিপাটি অফিসটা আছে। আছে ডাইনিং, গেষ্ট রুম, ওয়ার্ক স্টেশান। লকারের বুম, ট্রাইপড আর ক্যামেরা সবটাই যত্নে রাখা। অবচেতন মনে ঘোরেফেরে সহকর্মীর আবছায়া। এখনো কানে ভাসে কী-বোর্ডের খটখট শব্দে, প্রতিবেদন লেখা আর মুখে মুখে আওড়ানো শব্দের গাঁথুনি।
গাছে গাছে নতুন কুঁড়ি, প্রকৃতির মৃদুমন্দ হাওয়া আর পাখিদের ডাক। রং ছড়ানো প্রকৃতি বলছে সবেতো বসন্ত এলো দ্বারে। শীতের রুক্ষতা কাটিয়ে ফুলে ফুলে সাজতে শুরু করেছে প্রকৃতি। তবে এগুলোর কোনটাই বুনোফুল নয়। বাগানেই হচ্ছে এসব ফুলের চাষ।
স্মরণে-বরণে বা নাগরিক জীবনের শত আয়োজনে ফুলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। গুচ্ছ গাঁদা, টকটকে গোলাপসহ বাহারি রং এর বৈজয়ন্তীর চাষ করছেন চাষিরা। শীতের শুরুতে যত্নে, বরেন্দ্রের উঁচুনিচু কিংবা সমতলের মাটিতে প্রতি বছর বাড়ছে এই ফুলের চাষ।
তিন মাসের পরিশ্রমে বছরের মুনাফা তুলতে পারছেন চাষিরা। ফুলের খুচরা বাজার থাকায় এ চাষে বাড়ছে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা। তবে অন্যান্য কৃষিপণ্যের মতো এখানেও বিক্রেতাদের কাছে কিছুটা জিম্মি চাষিরা।
তবে গেল বছরের তুলনায় ফুলের চাষে বিঘায় খরচ বেড়েছে প্রায় দশ হাজার টাকা। কিন্তু এবারে ফেব্রুয়ারি জুড়ে বিভিন্ন দিবস উদযাপনে অন্যান্য বছরের চেয়ে আয়োজন ছিলো কম ফলে বাজারে কমেছে বেচাকেনা।
স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে রাজশাহীতে ফুলের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় দিন দিন বাড়ছে চাষিদের সংখ্যা। তবে ব্যবসায়ীদের মত, প্রাকৃতিক অবস্থা বিবেচনায় মুষ্ঠিমেয় নয়; বরং নানা রকম ফুলের চাষ বাড়াতে হবে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোসা. উম্মে সালমা বলেন, ‘যেসব জমি পড়ে থাকে বা যে জমিগুলোতে সম্ভাবনা আছে। বিশেষ করে আমাদের বরেন্দ্র এলাকা ও খরা এলাকা। এখানে ফুল চাষে আগ্রহী চাষি আছে সঙ্গে সম্ভাবনাও রয়েছে।’
রাজশাহীর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় পরীক্ষামূলক চাষের ফলাফলে রাজশাহী হয়ে উঠছে ফুল চাষের সম্ভবনাময় অঞ্চল।
এখানে দাঁড়ালেই দেখা যেত মাসুমা এই ডেস্কে বসে মগ্ন প্রতিবেদনের বিস্তারিত লেখনিতে, গবেষণায় অথবা নতুন গল্পের বুননে। সবশেষ রাজশাহী অঞ্চলের ফুল নিয়ে।