ঈদ সামনে রেখে বরিশালে দর্জিদের ব্যস্ততা বেড়েছে

এখন জনপদে
0

ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে দর্জি ও থান কাপড়ের দোকানগুলো। বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড় ও দর্জিরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন পোশাক তৈরিতে। তবে আগের তুলনায় কাপড়ের দাম ও মজুরিও বেড়েছে বলে জানান ক্রেতারা।

বরিশালে এখন জমজমাট দর্জি দোকান। সেলাই মেশিনের শব্দ আর কাটাকাটির ব্যস্ততায় দর্জিরা। কেউ কাপড় কাটছেন, কেউ সেলাই করছেন, আবার কেউ দিচ্ছেন সুতোয় কারুকাজ।

শবে বরাতের পর থেকেই নগরীতে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে পোশাক তৈরির চাপ। ঈদ উপলক্ষ্যে দর্জির দোকানগুলো ২০ থেকে ২২ রমজান পর্যন্ত অর্ডার নেবে বলে জানালেন মালিকরা।

একজন দর্জি দোকানের মালিক বলেন, 'বাচ্চাদের কাপড় তৈরি করছি, বড়দেরও আছে। সবকিছু মিলিয়ে ভালো।'

একজন দর্জি বলেন, 'গতবারের চেয়ে এবার ভালো কাজ হচ্ছে। এবার তো শবে বরাতের পর থেকেই কাজ শুরু হয়েছে আমাদের।'

সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলা এই ব্যস্ততার সঙ্গে তাল মিলিয়ে জমে উঠেছে থান কাপড়ের বাজারও। বরিশালের কাটপট্টি ও চকবাজার এলাকায় এখন ভিড় বেশি নারী ক্রেতাদের। দোকানিরা বলছেন, দেশি-বিদেশি নানা ধরনের কাপড় থাকলেও বিদেশি কাপড়ের দাম এবার বেশি বলে জানান ক্রেতারা।

একজন ক্রেতা বলেন, 'দাম বেশি সবকিছুর। দোকানিরা বলছে তারা বেশি দামে কিনতেছে। সেজন্য আমাদের কাছ থেকে তো একটু বেশি নিবেই।'

থরে থরে সাজানো নানা রঙ ও ডিজাইনের কাপড়। সুতি, বিনে সুতি, ছাপা, একরঙা, কাতান, সিল্ক, জর্জেটসহ রয়েছে বিভিন্ন ধরনের কাপড়। ভারত থেকে কাপড় না আসায় চীন থেকে আমদানি করা কাপড় এবার বেশি দেখা যাচ্ছে। ফলে কিছু কিছু কাপড়ের দাম ২০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

একজন বিক্রেতা বলেন, 'গতবার ছিল শুধু নেটের মধ্যে এবার কয়েক প্রকারের কাপড় আসছে। ডলারের দাম যেহেতু এবার বেশি, সেজন্য কাপড়ের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।'

গত ঈদের চেয়ে এবার ব্যবসা বাণিজ্যের পরিস্থিতি ভালো বলে জানান বরিশাল চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি।

বরিশাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এবায়দুল হক চান বলেন, 'এবার জিনিসপত্র স্বাচ্ছন্দ্যে মানুষ ক্রয় করতে পারছে। তখন একটা রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিল। এবার সেরকম রাজনৈতিক অস্থিরতা নেই। আইনশৃঙ্খলা মোটামুটি জনগণের পক্ষে। যদি সরকার, প্রশাসন সহযোগিতা করে তাহলে ব্যবসায়ীরা স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবে।'

বরিশালে দুই শতাধিক থান কাপড়ের দোকান ও চার শতাধিক দর্জির দোকানে কাজ করেন প্রায় তিন হাজার শ্রমিক।

এসএস