চীনের বদলে বাংলাদেশে অর্ডার; রপ্তানিতে ২০ বিলিয়ন ডলার বাড়ার আশা

চট্টগ্রাম
রপ্তানিতে গতি ধরে রেখেছে তৈরি পোশাক শিল্প
আমদানি-রপ্তানি , শিল্প-কারখানা
অর্থনীতি
0

ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ বাংলাদেশের পোশাক খাতে নতুন সম্ভাবনা হতে পারে। এরইমধ্যে প্রতিযোগী দেশ চীন থেকে সরে অনেক ক্রেতা অর্ডার দিচ্ছেন বাংলাদেশে, যা আগামীতে আরও বাড়বে। এ সুযোগ কাজে লাগালে দেশের রপ্তানি আয় ১০ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার বাড়ানো সম্ভব হবে। এমন দাবি চট্টগ্রামের পোশাক শিল্প খাতের ব্যবসায়ীদের।

গেলো অর্থ বছরে দেশের মোট পোশাক রপ্তানি ৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যার মধ্যে সাড়ে ৭ বিলিয়ন হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। অর্থাৎ দেশের পোশাক রপ্তানির প্রায় ১৫ শতাংশেরই গন্তব্য আমেরিকার বাজার। সম্প্রতি ট্রাম্পের শুল্ক আরোপে যখন টালমাটাল বৈশ্বিক বাজার, তখন এ খাতে উল্টো অপার সম্ভাবনা দেখছেন দেশের পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা।

পোশাক শিল্প মালিকরা বলছেন, বাংলাদেশের প্রধান দুই প্রতিযোগী চীনের ওপর ৩০ শতাংশ ও ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যেখানে বাংলাদেশের ওপর হয়েছে ২০ শতাংশ। এ অবস্থায় বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনে নুতন মোড় নেয়ার সম্ভাবনায় দেশের পোশাক শিল্পের বহুমুখী রপ্তানি বাড়ার সম্ভাবনা দেখছেন শিল্প মালিকরা। একদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি যেমন বাড়বে, তেমনি চীন ও ভারতের অনেক ক্রেতারা হবে বাংলাদেশমুখী। এরইমধ্যে অনেক ক্রেতা বাংলাদেশে যোগাযোগ করে অর্ডার দিতে শুরু করেছে বলেও জানান পোশাক খাত সংশ্লিষ্টরা।

বিজিএমইএয়ের রাকিবুল আলম চৌধুরী পরিচালক বলেন, ‘শুল্কের পাশাপাশি আমাদের বিভিন্ন ধরনের বাধা রয়েছে। এই সমস্যাগুলো সমাধান করে সরকার যদি আমাদের পাশে দাঁড়ায় এবং আমার যদি আগের মতো কাজ করতে পারি তাহলে শুল্কের যে বিষয় আসছে সেটা থেকে আমরা লাভবান হতে পারবো।’

আরও পড়ুন:

শিল্প মালিকরা বলছেন, এমন সুযোগ সব সময় আসেনা। তাই বৈশ্বিক ক্রেতাদের সাথে আলাপ করে ক্রেতা আর্কষণের মোক্ষম সুযোগ এখনই। নতুন করে ক্রয় আদেশ বাড়লে বন্ধ পোশাক কারখানা চালুর পাশাপাশি কর্মসংস্থান তৈরির সম্ভাবনাও বাড়বে।

বিজিএমইএয়ের পরিচালক আবু তৈয়ব চৌধুরী বলেন, ‘সমসাময়িক সমস্যাগুলো সমাধান করে যদি আমরা আগাতে পারি তাহলে পোশাক শিল্পের প্রবৃদ্ধি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

তবে চ্যালেঞ্জও কম নয়, বাংলাদেশের ওপর আরোপিত ২০ শতাংশ শুল্কের ভার কমাতে দামও কমানোর দাবি তুলবে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা। এ অবস্থায় বৈশ্বিক পোশাকের বাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে দ্রুত ব্যবসায়িদের সাথে সরকারের আলোচনা ও নীতি নির্ধারণের দাবি ব্যবসায়ীদের।

গেলো অর্থ বছরে মোট রপ্তানি হয়েছে ৪৮ বিলিয়ন ডলার। উদ্যোক্তারা বলছেন, নতুন বাজারের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারলে রপ্তানি আয় ১০ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার বাড়ানো সম্ভব।

সেজু