মিরসরাইয়ে সমুদ্র উপকূল ঘেরা নয়নাভিরাম পরিবেশে প্রায় ৩০ হাজার একর জুড়ে দেশের বৃহত্তম অর্থনৈতিক অঞ্চল। বিশাল বিশাল কারখানা, নির্মাণ কর্মযজ্ঞ, শ্রমিকদের আনাগোনা আর ভবিষ্যতে সমৃদ্ধ অর্থনীতির হাতছানি।
প্রশ্ন হচ্ছে - সাত বছরে কতটুকু এগোলো এই অর্থনৈতিক অঞ্চল? কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ, জ্বালানি নিরাপত্তা, বিনিয়োগকারীদের সন্তুষ্টি কি পেয়েছে আশানুরূপ? নাকি হতাশার বেড়াজাল? বেজা কর্তৃপক্ষ বলছে, এশিয়ান পেইন্টস, মেরিকো, নিপ্পন, ম্যাকডোনাল্ডসসহ দেশি-বিদেশি মোট ১১ টি কারখানা উৎপাদনে গিয়েছে। তৈরি হচ্ছে আরো ২৮টি শিল্প কারখানা। এছাড়া বিনিয়োগ নিশ্চিত করেছে ১৫৫ প্রতিষ্ঠান। আলোচনা চলছে প্রায় ১৯ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ নিয়ে।
সম্প্রতি এই ইকোনমিক জোন পরির্দশন করেছেন ৬০ জন বিদেশী বিনিয়োগকারী। যা আগামীতে বড় ধরণের পরিবর্তনের আভাস দিচ্ছে। তবে কারখানা স্থাপনের পর সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসাবে দেখা দিয়েছে পানি স্বল্পতা আর দক্ষ শ্রমিকের অভাব। বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বলছেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আর আর্থিক সুবিধা নিশ্চিতের ওপর জোর দিচ্ছেন তারা।
বর্তমানে স্বল্পমেয়াদে দুই বছরের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বেজা। যেখানে ১ হাজার ৫০০ একর জুড়ে পুরোপুরি কারখানা স্থাপন ও উৎপাদন নিশ্চিত করতে চায় সরকার। এখানে বিনিয়োগকারীদের এক একজনকে ৫ একর থেকে শুরু করে ৫০০ একর পর্যন্ত জায়গা দেয়া সম্ভব হচ্ছে।
যা এরইমধ্যে এখানকার জমির দাম, স্থানীয় মানুষের জীবনযাত্রা, ব্যবসার ধরণ আর বাজার হাটে এনেছে ব্যাপক পরিবর্তন।
পানি সংকট ও দক্ষ শ্রমিকের অভাবের কথা স্বীকার করে বেজা বলছে, এরইমধ্যে ৬০০ মিলিয়ন লিটার পানি সংগ্রহ প্রকল্পের কাজ চলছে। ইকনোমিক জোনকে ঘিরে মিরসরাই, সীতাকুণ্ড ও সোনাগাজি তিন উপজেলা ঘিরে তিনটি পরিকল্পিত টাউনশিপ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। চলছে মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কাজ।
প্রায় ৩০ হাজার একরের ইকনোমিক জোনের মধ্যে সাড়ে ১৭ হাজার একর ভূমি শিল্পাঞ্চলের জন্য প্রস্তত করতে পেরেছে বেজা। সব কারখানা চালু হলে প্রায় ১৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে এ শিল্পাঞ্চলে।