কে লিখেছে এই আবেদন, সে বিষয়ে কোনো কিছু জানা যায়নি, কিন্তু সাধারণ জনগণের দাবির আওয়াজ যেন দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছে বলছেন নেটিজেনরা।
নেটিজেনরা বলছে, দীর্ঘ ফ্যাসিজম শাসনামল শেষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস অল্প দিনেই সাধারণ জনতার ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছেন। পাগলা মসজিদে যেহেতু কথিত আছে মানত করলে মনোবাসনা পূরণ হয় সেজন্য রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রধানকে নিয়ে এমন চিঠি সাধারণ জনগণের।
আজ (শনিবার, ১২ এপ্রিল) সকালে পাগলা মসজিদের ১১টি দানবাক্স খোলা হয়। এসময় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিপুল সংখ্যক সেনাবাহিনী, পুলিশ, এপিপিএন ও আনসার সদস্য উপস্থিতিত ছিলেন।
গণনায় অংশ নেয় পাগলা মসজিদের পাশের মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, মসজিদ কমিটির লোক, ও ব্যাংকের কর্মকর্তা মিলিয়ে প্রায় ৪০০ জন।
দান সিন্দুক খোলার পর ২৮ বস্তা টাকা পাওয়ার পাশাপাশি পাওয়া গেছে এই অদ্ভুত চিঠি, যা এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান জানান, এখন পর্যন্ত এই দানের পরিমাণ ৮০ কোটি ৭৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।
তিনি আরো জানান, মসজিদের দান কেবল মসজিদ বা মাদ্রাসার উন্নয়নে নয়, এটি সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যবহৃত হবে। এছাড়া, পাগলা মসজিদে গড়ে তোলা হবে পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স, যেখানে একসঙ্গে ৬০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।