বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলার আহ্বায়ক মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, '২০২৩ সালে নোয়াখালী-ঢাকা রুটে 'সুবর্ণচর এক্সপ্রেস' নামে নতুন আন্তঃনগর ট্রেন বরাদ্দ দেওয়া হলেও এখনও তা চালু হয়নি। এই রুটের যাত্রীরা প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ফলে বাস সিন্ডিকেট নানাভাবে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী ও রোগীদের জন্য নির্ভরযোগ্য ট্রেন সার্ভিস অত্যন্ত জরুরি।'
অবরোধে অংশ নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, 'আমরা বহুদিন ধরে এই ট্রেনের অপেক্ষায় আছি। অথচ কোনো অজানা কারণে ট্রেন চালু করা হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়েই আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নেমেছি। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোনো আশ্বাস না পেলে আমাদের আন্দোলন আরো কঠোর হবে।'
এসময় আটকা পড়া উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী আবদুর রহিম বলেন, 'আমরা সাময়িক কষ্ট পেলেও তাদের দাবির সাথে আমরা একমত। নোয়াখালীতে বাসমালিকদের সিন্ডিকেটের কারণে নতুন বরাদ্দ হওয়া ট্রেনটি চালুই করতে পারেনি। আমরা দ্রুত সুবর্ণচর এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালু করার দাবি জানাই।'
এদিকে মাইজদী কোর্ট স্টেশনের দায়িত্বে থাকা স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, 'বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলে জানানো হয়েছে। তাদের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে দেড় ঘণ্টা পর অবরোধকারীরা অবরোধ ছেড়ে দিলে সাড়ে সাত টায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।'